এতটা চঞ্চল সময়ের দুর্বার হাওয়াতেও স্বপ্নীল হইনা আজ
কল্পনায় আজ পৌষমাখা জড়তা। মহাকালের ঘূর্ণি বাঁকে
বিধ্বস্ত কায়ায় ক্লান্ত বসুধার অনির্ণেয় আর্তনাদ শুনি,
শুনে যাই নিভৃতে পদদলিত কৃষ্ণচূড়ার রক্তাক্ত কান্না।
তবুও পরে থাকি নিথর, ধ্বংসের অবলীলায় ঢের।
নিরন্তর চেতনার বিশ্বাসঘাতকতায় পরাস্ত হয় বিপ্লব
নিশীথে যন্ত্রণারা বেদম দুর্বার হয়, হয় অনিঃশেষ।
চেতনায় ছেয়ে যায় ক্লেদাক্ত ক্লান্তির জড়তা আর লৌকিক
আলস্য। এ শহর, অলিগলি বদলে যাচ্ছে ক্রমশ আর
বদলাচ্ছে মাথা উঁচু করে থাকা ওই কৃষ্ণচূড়ার গাছটিও।
শুধু বদলায় না তার আরক্তিম বোধ।
এখানকার সকাল গুলো এখন আর শ্লোগানে নয়, রাবিন্দ্রিক
সুরে নয় – যান্ত্রিক ঘড়ির অ্যালার্মে জেগে ওঠে ব্যস্ত রূপে।
প্রতিবাদ এখানে বখাটেপনা , কালে ভদ্রে দ্রোহও ডানা ঝাঁপটায়,
তবে চেতনায় নয় হালের বিগলিত ফ্যাশনে ।
সময়ের অতলান্তে পিষ্ট হয়ে নির্বিকার হয়ে আছে আজ
আর্ত বোধ শ্মশান গড়ে মুক্তির।