অভিমান নেই আজ, সেতো কেবল
আত্মসান্তনা আর ঢেকে রাখা পরাজয়
গ্লানিময় সময়ের বিপরীতে সহনীয়
বোধ আত্মশক্তি নয়, ঘৃণার কাছে
মুখথুবড়ে পরা বিবেক। তবু সময়ের
ভ্রান্তি মাঝে মাঝে বঞ্চিতের আর্তস্বরে
জাগ্রত করে বিপ্লবী সত্তা, সূর্যাস্তের
মতো নিমেষেই বাস্তবের আব্রুতে
ঢাকা পরে ম্লান। বিপ্লব হয়ে যায়
কেবল জমিয়ে রাখা আত্মঅহংকার।


অজস্র মুক্তির সুর প্রতিধ্বনিত হয়ে
ফিরে আসে আপন কক্ষে, কখনোবা
উপহাসময় লজ্জা, আপন খেয়ালে বাড়ে
শ্যাওলা বিবেকের মলিন প্রকোষ্ঠে ।
যেন সেই আশির দশকের সামরিক বুটে
পিষ্ট হয় বোধ, অদৃশ্য বুলেটের বারুদে
দগ্ধ ঝাঁজরা হই নিয়ত। বিপ্লব আর জেগে
ওঠে না মাষ্টার দা বা নির্মল সেনের  
আত্মবলিদানের চেতনা নতুন হয়ে,তরুনের
প্রাণে প্রাণে। তথাকথিত গনতন্ত্রের সুবাতাস
ঢেকে দায় মক্তির শব,  গলিত দুর্গন্ধ।


শিল্পীর তুলিতে যে কেবল রঙ নয়
আছে বিপ্লব, কবিতার অক্ষরে অক্ষরে
কেবল প্রেমের মুখরিত ছন্দ নয়, আছে
বিপ্লবের অনন্ত সুর, মিছিলে মিছিলে
কেবল প্রলাপ নয়, আছে মুক্তির প্রতীক্ষিত
আহ্বান, অথচ  আলোহীন ছায়ায় নিবৃত
আজ তারা, হয়তো লেকচার  হয়ে দু একটু
আদর্শিত হয় পূর্ব ইউরোপ আর সোভিয়েত
ইতিহাসে আর প্রলেতারিয় আর্তনাদে।