তবুও পরাভূত হয়ে জেগে উঠি আবার
নিস্তরঙ্গ নদীর মন্থর অববাহিকায়
কিংবা এক একটি উত্তাল সমুদ্রের
গর্জে ওঠা ঢেউয়ের বিপরীতে, আবারো
স্বপ্ন আবাদের রক্তিম অভীপ্সায়।
আমাদের রক্ত স্রোতে কালের হেলায়
বয়ে চলা দাসত্ব আর বেড়ে উঠবে না
কালো টাকার মতো কিংবা আমাদের
হৃদয় স্বপ্ন শবের স্তুপ হবে না আর ।
অথচ বারবার আহত হই বর্তমানের
স্বার্থপর স্বপ্নহীন আঘাতের নির্মমতায়।
স্বপ্নের সিন্ডিকেট যেন ,স্বপ্নহীনের দেশে
স্বপ্নের সঙ্কটে উচ্চদামে বিক্রি হবে স্বপ্ন।
মুক্ত ভাবে নিঃশ্বাস নেয়ার স্বপ্ন
স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি পাবার স্বপ্ন
কিংবা দয়িতার মুক্ত বিহগের মতো
উড়ে বেরানোর স্বপ্ন এই বাজারে দুর্মূল্য।
তাইতো স্বপ্ন সওদাগর লিটন নন্দীরা
প্রতিনিয়ত দলিত হয় স্বপ্নভুকের পদতলে।
এক একটি স্বপ্ন ও তাই কৃষ্ণচুড়ার লালরঙ্গে
ছেয়ে যায় পিচগলা পাথুরে রাস্তায় পুলিশের
বুটজুতো মোড়া পিস্টনে। কবিতাও বেছে নেয়
শোষিতের সাদাকালো প্রচ্ছদ আর ছন্দরাও
রক্তাক্ত আজ। গভীর অন্ধকার এক গর্জে ওঠে
স্বৈরাচারী হুংকার দিয়ে, যেন সেই মধ্য আশির
অরাজক এক দশক আজো উল্লাস করে তৃপ্ত হয়
নিষ্পেষিতের রক্ত ঘামে।  
হয়তো জেগে উঠবো আবার মুক্তির রক্তিম ভ্রুনে-  
বিপ্লবের স্বপ্নময় ছন্দে, বিজয়ের অদম্য স্প্রিহায়।
কবে সে কাংখিত সময় বর্তমানের শৃঙ্খল থেকে
বেরিয়ে আসবে, শৃঙ্খলিত বর্তমানে নিষ্পেষণের
আর্তনাদ জন্ম দেবে নতুন দিনের কর্নেল তাহের,
বিপ্লবের বিজয় তিলকে জেগে উঠুক সময়ের
নির্ভীক সব সূর্যসেন। সমাজকে বদলে দিতে
মুক্তির রঙিন উন্মাদনায়।