নিয়ন আলো আঁধারের বিলীন নয় বরং
জানান দেয় তার কুঞ্চিত উপস্থিতিতে
আঁধারের প্রকটতা। শব্দরাও আঁধারের প্রচ্ছদে
স্বপ্নের কবিতা বুনতে গিয়ে অশরীরী ভূতুড়ে
ভাবের আবাদে বেছে নেয় নৈরাশ্যের ছন্দ।
সিগারেটের সর্পিল ধোঁয়ায় জীবন্ত হয় আর্তি
কখনো স্বপ্ন ছিল, ছিল কোন সুহাসিনীর
উষ্ণ স্পর্শের মাদকতাময় অনুভূতি,
যেখানে আঁধার ছিল নতুন একটি ভোরের
প্রতীক্ষা মাত্র। আর কবিতায় ছন্দিত হতো
দ্রোহ আর প্রেমের স্পন্দিত ঝংকার।
শব্দগুচ্ছ হয়তো আজ অসার জলাভাবে
নেতিয়ে যাওয়া রক্তজবার মত, মাঝে কিছু
ছন্দ আবার সময়ের আঘাতে থেঁতলে গিয়ে
রক্তাক্ত। কিছু প্রেমানুভূতি আজ দুঃস্বপ্নেরই নীরব
রেফ্রিজারেটর । সস্তা কিছু দিনাতিপাত,
কয়েকটি ঝিঁঝিঁ পোকার কোরাস ধ্বনি যেন
হতাশার ক্রমাগত ঠোকর হয়ে দংশন করে কানে।
তুমি তো রয়েছ আজো উষ্ণ, হয়তো উদোম বক্ষে
ঘর্মাক্ত উত্তেজনায় আদিম সুখের দলিত বিছানায়
বুকে জড়িয়ে নিয়ে অপরিচিত তবু নিয়মের কাম।
কবিতা কবেই নিয়েছে ছুটি, ঠাই গুঁজেছে তার
মাসকাবারি ভাঙ্গারির স্তুপায়িত কাগজের দোকানে,
ঝালমুড়ি কিংবা হাফ কেজি চিনির ঠোঙ্গা
হবার প্রতীক্ষায় । বিপ্লবও তেমনই সাজানো থাক
স্মৃতির বক্ষে পরাজিত ইতিহাস হয়ে, প্রথার
বিকৃত হাসিতে অসহায় মুখ লুকোক সে গ্লানির লজ্জায়।
প্রতীক্ষায় থাকি আবারো অন্ধকার বিলাসের,
নীরব কয়েকটি  নৈরাশ্যে কয়েকটি দুঃস্বপ্ন আলিঙ্গনে।
বারান্দায় তারের ঝুলুনিতে ঝুলে থাকা তোয়ালের
গা বেয়ে ঝরতে থাকা বিন্দু বিন্দু জলের মতই
হৃদয় বেয়ে ঝরতে থাকে বিন্দু বিন্দু অদৃশ্য রক্ত
পরাজয়ের বিজয় উল্লাস।