জীবন্ত হও বারুদের তপ্ত ঘর্ষণে,
উষ্ণ ছোঁয়ায়। জানি তোমাতে সুপ্ত
শত ব্যাধির বিষ আর
অভিভাবকীয় শাসন। তবু
আপন করে নেই তোমায়।
নিথর তুমি জ্বলে ওঠো ওষ্ঠের
তৃপ্ত স্পর্শে । নিবিড় অঙ্গার হও
প্রতিটি নিশ্বাসের  আনাগোনায়।
হয়েছ সখা বাড়ন্ত তারুন্যের
অবাধ্য  উৎসুকতায় ।
তোমায় নিংড়ে নেই উজার করে
হৃদয়ের দহন তোমার দহনে
উবে যায়  নিমেষ।
উদ্ভ্রান্ত বিকেলের মৌনতায়,
প্রিয়ার গাঢ় অভিমানে,
দুর্বার তারুন্যের আড্ডায়-
তোমায় ছুঁয়ে যাই, পান করি
নির্যাস তোমার । তপ্ত হও,
অঙ্গার হও নিশ্বাসে মিশে।
তৃপ্ত  আভায় ছড়িয়ে যাও
সর্পিল ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে।
জানি তুমি দংশন করে যাও
হৃদপিণ্ডে, ছড়িয়ে যাও তোমার
বিষাক্ত সুধা রক্তের ফোটায় ফোটায়।
তোমার সঙ্গ নিষিদ্ধ বলে তোমায়
আইন করে গৃহবন্দী করা হয় ।
তবু তুমি কামনার অপার মোহে
অস্তিত্বের জানান দাও
প্রেমিকের ওষ্ঠে ওষ্ঠে,
নিশ্বাসের উষ্ণ প্রবাহে।
বাজেটে উচ্চ শুল্ক বসলো-
রুখতে তোমায়, কে পারে
রুধিতে তোমায় ! ওষ্ঠে ওষ্ঠে
ভেসে বেড়াও, নিজেকে অঙ্গার করে
তৃপ্ত করে যাও আমায়।
কতবার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলাম-
বিচ্ছেদে যাব, জীবনে তোমার
থাকবে না অস্তিত্ব। জানি তোমাতে
আছে মৃত্যুর আভাস। তবুও
আবার কাছে টেনে নেই তোমায়
নিঃশ্বাসে সঙ্গী করে।  
সুখ নেই তোমার দহন জ্বালায় ।
ওষ্ঠের তৃপ্ত স্পর্শে তুমি অনির্বাণ ।