দহনে দহনে দগ্ধ হই, অঙ্গার নই নিয়ত
যাতনায় আড়ষ্ট হই অনিমেষ হাহাকারে।
জানি ভ্রুক্ষেপ নেই তোমার। বেশ তো আছো!
সামাজিক সংস্কারে বিলিয়ে দিয়ে আপন সত্ত্বা।
পাছে আমি পরে রই অস্পৃশ্যতার অনুযোগে।
তোমাতে দেখেছি রক্তকরবীর স্পর্ধিত নন্দিনী,
তোমাতে খুঁজেছি প্রথার প্রকোষ্ঠ ভাঙ্গা অনির্বাণ!
সময়ের সাথে দ্বন্দ্বে দ্বন্দ্বে নিজেকে ভেবেছি
অপরাজেয়। অথচ আজ ভ্রান্তির শ্লেষে নিঃশেষ ।
ব্যস্ত রাজপথের তপ্ত পীচের মত উপেক্ষিত  
হয়ে নিঃশব্দে নিজেকে সপে দেই হতাশার কোলে।
সান্ত্বনা খুঁজে নেই নির্জন রাতের তিমির হাহাকারে।
সময়ের স্বপক্ষে তুমি উত্তাল প্রেমে ভিজে যাও
তৃপ্ত চেনা রমনে । উষ্ণ হও, পূর্ণ হও কামনায়।
আমার রাত্রি আঁধারের পরিব্যপ্তি, আর তোমার!
শিহরণের আদিম উল্লাস মাখা প্রেমের উষ্ণ অবগাহনে ।
ষোড়শীর ভরা বুকের মত তোমার পূর্ণ সুখের কাছে
আমার তৃষিত মরুভূমি বেমানান ঢের।
আমার গোধূলি মানেই রাত্রির আগমনী সুর,
তোমার রইল সন্ধ্যাকাশের আবীর লালের সবটুকু।
সময়ের সাথে দ্রোহে বিপ্লবী নিঃশেষ হোক পরাজয়ে।
সেদিনের অজড় সংশপ্তকে জমে থাক মহাকালের জড়তা ।
কবিতা গুলো যাতনার মতই পুড়ে পুড়ে ছাই হয়ে যাক।  
প্রতীক্ষায় থেকো না অপরাজিতা! আর কোন কবিতার।  
কুণ্ঠিত পৃথিবীর সুসজ্জিত সোপিজ হিসেবেই তুমি মানানসই।
অপরিজিতা, বোধ নয় কবিতারা সব শব্দ হয়েই থাক।