অপরাজিতা,  সহস্র বসন্তের পরে অমোঘ নিয়তি তবু বরণ করি বিচ্ছেদের
শূন্য অসার চিত্তের নীরবতায় বসন্তের দুর্বোধ্য ব্যাথার নৈঃশব্দ্য গর্জন।
সময় কভু সাক্ষ্য দেবে আজকের, পাছে ভালোবাসা তো মেয়াদোত্তীর্ণ-
স্মৃতির বসন্তেই সজীব হয়ে হিসেব কষবে বর্তমানের লালিত বিচ্ছেদের।  
ব্যস্ত দুপুরের চঞ্চল আমেজে চায়ের পেয়ালায় বিষ্ণু দে, কিংবা অবসাদে
স্বপ্নময় রুদ্র গোস্বামী সুনীলের কথা রাখেনির দলে ভিড় করল ধীরে।
সময়ের বিক্ষিপ্ত দোলায় অপরাজিতা আর বরুণারা মিলে মিশে একাকার।
তবু তোমায় নিয়ে লিখে যাই অপরাজিতা। ফুলদানীতে সেদিনের রক্তজবা  
নির্জলা সময়ের স্বার্থপরতায় বিবর্ণ। কবিতার বইগুলো ধুলো জড়ানো-
বুকে নিয়ে জমানো কিছু প্রেমের শব্দ, দ্রোহের শব্দ, সৃজনের স্বপ্নতান।
অপরাজিতা, বসন্ত তো আজো আসে সবুজের সমারোহে, কবিতায় তবু
বসন্ত নেই। বসন্তরা তোমারি মত স্মৃতি হয়ে থাক বিচ্ছেদের কবিতায়।