আজতো বৈশাখ বিক্রি হয় পান্তা ইলিশের মত জমকালো প্রভাতের লৌকিক আড়ম্বরে,
ওয়ানটাইম আসবাবের মত একদিনের মাপা উদযাপনে।
জানি বৈশাখও দগ্ধ হয় গ্লানির তীব্র দহন জ্বালায়।
আমরা নিয়ত প্রতারণার জাল বুনে বন্দী করি আমাদের শিল্পকে।
নির্লজ্জ অনুকরণে নিষ্প্রাণ করি আমাদের স্বত্তাকে,
নির্বিকার মেনে নেই আপন বিপন্নতা, বিপণনে।
টিভিসেটের সামনে ঐ অত্যাধুনিক উপস্থাপকের কন্ঠে দর্শকের চেয়ে
ভিউয়ার্সময় সম্ভাষণই বেশি মানানসই লাগে নিত্য প্রমোদ যাপনে-
নিয়মের খোলসে চিড়িয়াখানা গড়ি বাঙালিয়ানার।
একুশ বৈশাখ, ভাষা, ফাগুন আরো কত চিরিয়া বন্দী সেই চিরিয়াখানায়।


যুগের কদর বুঝে দুচারটে রবীন্দ্রনাথকে পান্তা ইলিশে চুবিয়ে পিষে
রগরগে এক ত্রিপ্তির চুমুকেই আমাদের বৈশাখ গড়াগড়ি খায় রমনায়,
টিএসসিতে, বাংলা একাডেমিতে। বখাটের হাতে অসহায় তরুণির ওড়না হয়ে
উদযাপিত হয় বৈশাখ। বাকি দিন গুলোতে ওই চিরিয়াখানা বন্ধ থাকে।
বাঙালিয়ানা বড্ড সেকেলে, আমাদের ভাষা আধুনিক নয়,
রবি ঠাকুর না বোঝাটাই ফ্যাশন আর কবিতা তো প্রগলভতা,
বাঙালিয়য়ানা স্রেফ সস্তা অহংবোধ।
তবু কেউতো আছে একদিনের সস্তা অভিনয় পেরে ওঠে না,
বৈশাখকে বিক্রি করে না।
আমি তাদের ভিড়ে তোমাদের চোখে সেকেলে থেকে যেতে চাই।