অনির্বচনীয়া আলোকনন্দা ছুঁয়েছিল যেবার শেষ বারের মত
পুরোনো এক তানপুরার বিষাদতান তরঙ্গিত ছিল ইটের স্তুপে।
ভ্যাঁপসা এক মানবীয় ক্লান্তি অনুপ বিকেলের সব রোদ করে ম্লান
নেশায় মত্ত এক আকাশ নীলের ভিড়ে রেকারিং জমে মেঘের প্রলেপ।
এখানে ক্রমাগত রক্তবীজে ছড়িয়ে যায় বিষাক্ত আকাঙ্ক্ষারা।
এখানে কাব্যকৌমুদী গিলে খায় অন্ধকারে ব্যপ্ত নির্লজ্জতা।
শেষ যেবার জোৎস্না জেগেছিল চেনা শব্দরা মেতেছিল বেশ
অবিতথ রাত্রির দীর্ণ মালিন্য ধুয়ে ফেলে চন্দ্রাহত শরতে।
কে জানত কাশবনে ফোটা ফুল শীর্ণ বৃদ্ধার শাদা চুলের গোছা।
ছোঁয়াচে অন্ধত্বে বিভোর হয়ে নাগরিক রাজপথে বিষণ্ণ আঁধার।
ক্লান্ত পথিক পথহারা নির্জনে খুঁজে ফেরে বৃথা আশ্রয়,
বিতোফেনে ঝংকৃত অশরণা ক্রন্দনে বড্ড বিদঘুটে লাগে রাত্রি।