অন্তরাত্মায় ভাবনার বাষ্পায়ন
প্রতিক্ষণ অন্বেষনরত লুন্ঠিত সুখ।
নিত্যকার রাত্রি লজ্জা হারায় আপন বসন ছুড়ে
উরুবেয়ে ধেয়ে নামে একদলা কালচে সম্ভ্রম।
এরপর রৌদ্রাক্রান্ত পৃথিবী ভুলে যায় সব,
মুঠি মুঠি ক্লোরোফিল জমা হয় বুকে
সবুজ নয় তবু সবুজের অভিনয়।
রক্ত কণিকায় সঞ্চিত হয় অবিশ্বাসের শ্লেষ
আসন্ন আগামীকাল প্রতীক্ষায় থাকে
নতুন কবিতার ঈপ্সিত শব্দে ঠাঁই নেবে সব ভুলে।
হে মহাকাল, হে অবিনাশী পরমাত্মা
নিজেকে প্রকান্ড করো অশরীরী সংলাপে।
ধরিত্রীর শিরদাঁড়ায় নেমে আসুক শীতল স্থিতি
স্তনাংশুক সরে যাক আচমকা হিন্দোলে
প্রেমিক হতে দিও তখন ওই পুষ্ট স্তনের।
ঘৃণায় লালিত উরুতে সেদিনও কালচে দাগ
অথচ রাত্রিগুলো ছিল স্বপ্নের সরাসরি সম্প্রচার।
গহীন রাত্রি, সহসা প্রেমিক আজ জাহাজী বেশে
খুঁজে ফেরে দিকমুখো সাইরেন তরঙ্গ।
ছুড়ে ফেলা গতকালগুলো যে অভিশপ্ত!
বাড়ন্ত কামনার একরোখা বিস্তারে বোধের আত্মহনন,
চন্দ্রাহত রাত্রীগুলো সীমারেখা এঁকে ইতিহাস হয় বারবার।