চাদর গাঁয়ে হুইলচেয়ারে ঘুমিয়ে আছে বাবা।
এক ছোট্ট শিশুর মতোই।
বুকের উপর হুমায়ুন আহমেদের লিখা
“অপেক্ষা” উপন্যাসের বই।
এ যেন শুধু উপন্যাসের নাম নয়।
কারো অব্যক্ত মনের কথা।


কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা
মানুষের জীবন থেকে সুখ কেড়ে নেয়।
গত কয়েক বছর যাবৎ হুইলচেয়ারে বসে থাকা মানুষটার
হাসি দেখিনি আমি।
দেখবো বা কি করে!
তার হাসির কারণ যে ছিলো সে-তো চলে গেছে!
চলে গেছে ওপারে সকল হাসি, সুখ, আনন্দ নিয়ে।
রেখে গেছে কিছু স্মৃতি।


সেদিন শুরুটার মতো শেষটাও হতে পারতো।
হতে পারতো ভোরের মতো।
কিন্তু আনন্দ, হাসি,সুন্দর মুহূর্ত গুলোর স্মৃতির বদলে
সেদিন ফিরতে হলো মায়ের লাশ আর একরাশ বেদনা নিয়ে।


সকাল হতে কতো আনন্দই না করেছিলাম!
সাজেক থেকে ফেরার পথে
ট্রাকের এক ধাক্কায় উল্টে যাওয়া কারের মতোই
সকল হাসি, শত  স্বপ্ন সবকিছু উলোটপালোট হয়ে গেলো।
এক নিমিষেয় বিলীন হয়ে গেলো সব আনন্দ ।
সেই দূর্ঘটনায় বাবা আর আমাকে রেখে
না ফেরার দেশে চলে গেলেন মা।
সেদিন থেকেই আমদের আকাশ মেঘলা
আর চারপাশে নিস্তব্ধতা।