মাঝ রাতের কষ্ট কেউ বুঝে না,
আমার কষ্ট কেউ বুঝতে চায় না।
কী সীমাহীন অবজ্ঞা অবহেলায়,
ন-পুংশকের মত তীব্র ঘৃণায় আমি
এতটা বেড়ে উঠেছি।
নীতি জ্ঞান বেদ বাক্য আমার মস্তিষ্ক
কুরে কুরে খায়; যেমনটা খায়
ক্ষুধার্ত  উইপোকায়।


একদিন শোবার ঘরে মাঝরাতে
আমি দু'হাতে পেরেক ঠুকে,
দু'পায়ে পেরেক ঠুকে ঠুকে
বুঝতে চেয়েছি মহান যীশুর
কষ্টের কী তীব্রতা!
হায়! কি নির্মম মানব সভ্যতা!


কবিতার কাছে গিয়েছি,
সে স্পষ্ট বলে দিয়েছে
বাংলা অভিধান খুঁজতে।
আমি কোথায় খুঁজবো এর মানে!
আমি কোথায় কষ্ট গুলো লুকাবো।
হে নিষ্ঠুর সক্রেটিস
পেয়ালার পুরোটা হেমলক
পান করলে! আমার জন্য
অবশিষ্ট কি রাখলে!
হে পাষাণ অভিমানী
আমার প্রশ্নের জবাব দাও
আমার কষ্টের কিছুটা হেমলক
চুষে নাও।


আমি বড্ড দেরীতে বুঝেছি
ভগবানের কতটা লীলা,
শ্রী কৃষ্ণের কতটা জ্বালা।
আমি জেনেছি স্বার্থের জাঁতাকলে
নিষ্পেষিত বিধাতা,
হায়! কী নিষ্ঠুর মানব সভ্যতা।


ঢাকা
১০.০৫.২০২১


********************
কবিতাটি উৎসর্গ করা হল-
আমার ভাল লাগার প্রিয় কবিদের একজন
কবিতার আসরের শ্রদ্ধেয় বরেন্য কবি
"মার্শাল ইফতেখার আহমেদ" কে।