হেথাসেথা ঘুরেফিরি মনে কত রঙ,
হাবেভাবে চিরসবুজ পড়েনিতো জং।
জঠরেতে জ্বালা আছে জ্বলেনিতো ঠাট,
যুবা যেন দেখায় সদা তেমনি চুলের ছাট।
সাজ-সজ্জায় কেতাদূস্তর
বন্ধু-স্বজন আছে বিস্তর ,
মনেমনে ভাবি আমি আছি জওয়ান
সবখানেতে হব বেশি আদ্রিয়মাণ।
হঠাৎ সেদিন উঠলে বাসে
যুবতী এক নড়ল পাশে
বলল, কাকু! সরে দাঁড়ান
আমি হলাম ক্ষণিক অপ্রাণ !
মনে আঁচড় কাটল বেশে
এখনও রয় তারই রেশ।
ভাইয়া বলে ডাকল না ক্যান?
ওরা জানে? আমার ছিল কত ফ্যান ?
গোমরা মুখে বাড়ি ফিরি
ভালোমত গোসল করি,
এদিক ওদিক ফিরে তাকাই
আরশীর সামনে গিয়ে দাঁড়াই ।
চুল এত কবে সাদা হল?
চামড়া এত কেন ঢিলা হল?
সহসা বউ উঠল বলে
ঢং রাখ্ বুড়া অঙ্গ জ্বলে !


ছন্দ: স্বরবৃত্ত