গোধূলী আসলো, তবুও আমি আবোল-তাবোল ভাবছি---
পেছন থেকে গিন্নি শুধালো-চা দিব? সন্ধ্যা হয়েছে;
তাই? সূর্যশটা ডুবেছে বুঝি? তবে তো ভোর হবে নিশ্চয়ই জানি!
ছাড়ো, তোমার যত সব উদ্ভট কথা, বাড়িওয়ালা বাড়ি ভাড়া চেয়েছে, সেটি দেবে কোত্থেখে ভাব, ঔষধ তো ফুরিয়েছে দু’দিন আগে।মোটা চাল কিছু আছে, সেটিও ফুরালো বটে।শাক-পাতা আর আগের মত পাওয়া যায় না যেখানে-েসেখানে। ভাবলে তো সারা জীবন, পেলেটা কী?
নি:শ্চুপ হয়ে যায়, জবাব দিব কি ভেবে পাই না।শুনেছি, কালবৈশেখী দীর্ঘস্থায়ী হয় না, প্লাবন শেষ হয় তাড়াতাড়ি।আঁধার ঘরে মোমবাতি জ্বেলে বরাবরই আলোটাকে খুঁজি, কিন্তু আলোর ব্যাপ্তি বড় ছোট আমার বেলায় বুঝি! ছেলে দু’টো সেই যে বাড়ি ছেড়েছে, যেন তাদের দায় মিটেছে সব ই।
বুড়ো-বুড়ি একসাথে আছি, চল্লিশ পেরিয়েছে বটে, যদি সেখানেও আঘাত আসে ---, না, আর ভাবতে পারি না, ভিটেবাড়িটুকুও বেঁচে দিব এবার - তারপর যা হবার হবে। বিধাতার কাছে ভিক্ষা মাগি , সে আর আমি একসাথে  যেন মরি ।