ছোট্ট একটা সাঁকো
নির্মল, সুন্দর, বর্ধিত প্রাণস্পন্দনে
আঁকড়ে ধরে দুই প্রান্ত


ছিল দুটো পাহাড়
নিজ ঔদ্ধত্যে আর মহিমায়
মাথা উঁচু করে।

সময় ছিল মাঝখানের প্রবহমান স্রোতস্বিনী  


সাঁকোর হাত ধরে
একদিকের পাথুরে পাহাড়
একটু হলেও আপন করেছিল
অন্যদিকের সবুজকে।
আর সবুজ পাহাড়টা
সাঁকোর মাথায় চুমু খেয়ে
ভাঙা পাথরের রাস্তা বানিয়েছিল বুকে।  


কেউ দেখেনি রুক্ষ পাহাড়টার
ক্ষয়ে যাওয়া বুক
আলগা করছিল ধরে রাখা সাঁকো
আর এক পাকদন্ডীতে ছেড়ে গেল হাত


অন্যদিক
বুকে চেপে ধরেছিল
পড়ে যাওয়া সাঁকোটাকে
শেষ রক্ষা হয়নি -


বিচ্ছিন্ন পাহাড় দুটো
কেমন যেন এক রোখা
একটা আরও সবুজ আর
অন্যটা হয়ে উঠলো আরও পাথুরে।


ঝুলে থাকা সাঁকোটা ভেঙে চললো ক্রমশ