কাঁদো বাঙ্গালী কাঁদো  
আজকের এই দিনে কাঁদো।
মসজিদে যখন আযান হল, আচ্ছালাতু খাইরুম মিনান্নউম ''।
শুনলেন আজানের মধুর শুরু
আল্লাহর সকল সৃষ্টি ।


শুনলোনা আযানের ধ্বনি ওই  হায়েনারা।
তারা করিল পণ, কেড়ে নিবে বঙ্গবন্ধুর প্রাণ ।
নিবে  সাত কোটি মানুষের, আশা ভরসার
প্রাণভোমরা, অন্ধকারের আলোর বাতি ।


হানাদারের প্রেতআত্মা ঢুকিল ৩২নং বাসায়।
আযানের ধ্বনি শুনে,বঙ্গবন্ধু উঠলো যখন  


          কিন্তু.
নিচে এত হট্টগোল কিসের ।
বাংলার নেতা মনে ছিলোনা কোন  ভয় ।
ছিলো  বুক ভরা সাহস আর বিশ্বাস ।


সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতেই
শুরু হলো বৃষ্টির মতো
মেশিনগানের গুলি ।
বুকের তাজা রক্ত বের  হয়ে গেল ।
সিঁড়িতে  রক্তের স্রোত !
রক্ত লাল,  ভোর সূর্য মত লাল ।
বাংলার মাটি হলো  রক্তাক্ত
পড়লো কলিমার দাগ ।


হায়েনারা করে উল্লাস ! ।
এইতো শুরু হল বাংলার সর্বনাশ ।
বাঙালির প্রাণ নিভিয়ে দিল শকুনের দল।
এতে কি থামল  হানাদারের প্রেতাত্মারার।


একে একে শুরু হলো হত্যাযজ্ঞ ! ।
হত্যা করল বঙ্গমাতা,  শেখ জামাল শেখ  কামাল,  শেখ মনি আরো কয়েকজনকে।


অবশেষে যখন ছোট্ট শিশু রাসেল কে পেল  জাতির দুশমনেরা ।
রাসেল বললো ভাই আমাকে মেরো না।
আমি আমার মার কাছে যাব।
রক্তপিপাসু বলো আয় তোর মার কাছে নিয়ে যাচ্ছি ।
সেই দুঃখ কষ্টের যন্ত্রনা চোখের জলে কি শেষ হয়ে যায় ।


এই বলে তারা বন্দুক উঁচিয়ে ধরল ।
একটু কাঁপলো না পাষাণ দের বুক ! ।
রক্তপিপাসু নরপশুরা হত্যা করলো শেখ  রাসেল কে।
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই ।  
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুতৃর খবর  প্রচার হল সারা বাংলায় ।


বাঙালি জাতির হৃদয় ভেঙ্গে করলো চুরমার !।
এই ক্ষতচিহ্ন মুছবে কিসে,  আফসোস !
শুরু হলো হত্যাযজ্ঞগের নীলা  খেলা ! ।
আজ১৫ই আগস্ট  কাঁদো বাঙ্গালী আজ কাঁদো।