হৃদয়টা ছিল যার পৃথিবী জোড়া
আকাশের মত উদার প্রগাড়
রদ্রুজ্বল ভাস্কর অতুলনীয় নক্ষত্র
সাম্য গীত গাইত সদা অন্তরে বাহিরে
নিভিয়ে দিয়েছে দ্বীপ নিইতো দিশারী
আজ নেই কাছে তোমার আমার
উদ্ভ্রান্ত মোরা আজ লক্ষ্য বিহীন চলা
হীন কাজ অন্তর বাহিরে বিভাজিত জনতা
তন্ত্র একটাই হওয়া বাঞ্ছনীয় মানুষের
দাসত্ব শৃঙ্খল বেড়ী পরায়, মুখোশধারীরা
উন্মোচন কর ধিক্কার দাও প্রকাশ্য তাদের
খণ্ডিত পৃথিবী ধর্ম বর্ণ সাদা কাল
শোষণ শাসন বস্যতা মানবে না এমন ধৃষ্টতা কার
শিরঃচ্ছেদ করা হবে তার সে যত বড় সাম্যবাদী হোক না
গোলক ধাঁধায় জাতিসংঘ সত্ত্বা
সেও আজ মুঠীবদ্ধ পাঁচ আঙুলে আবদ্ধ
ক্ষমতা কুক্ষিগত, সবাই পদলেহনে অভ্যস্ত
পৃথিবী লুণ্ঠনে ব্যস্ত ক্ষমতাধর নেতৃত্ব হাত যার
উচ্ছিষ্ট পাবার আঁশে নেকড়েগুলো অদূরে উন্মুখ
ফাঁসির রজ্জু নয়তো বুলেট হনন করছে অহরহ
অন্তরে ঘৃণা আছে সবার কর্মকাণ্ড বিপরীত
কবে যে সারিবদ্ধ হয়ে সোচ্চার হবে মজলুম বিশ্ব জনতা
মারণাস্ত্রের হুঙ্কারে স্তদ্ধ জনতার কর্মকাণ্ড
দাম্ভিক বিচারক মসনদে, বিচার তার ইচ্ছামাফিক
একটা ভৌগলিক সীমানায় তাবৎ জনতা মুঠীবদ্ধ ছিল
খণ্ডিত পৃথিবীটা নেতৃত্ব দিতে পারত ছিল এই আশাবাদ
আজ ঘুমিয়ে আছে অশান্ত পৃথিবীর নির্জন এককোণে ।