দৈন্য যাহার নিত্য সাথী
দুঃখে সেতো বেজায় খুশী
খুশী থাকে গোমরামুখী
দুঃখীর দিকে চেয়ে
ভালোলাগা ভালোবাসা
সদায় তাহার আড়ি পাতা ।।
কষ্টে দুঃখীর মন ভেঙে যায়
ঢেউয়ের সাথে নেচে বেড়ায়
উপচে পরা,বিত্ত আছে যার ।।
উপচে পরে সব কিছু তার
বিলাস যাপন অতি ভোজন করে যে জন
বুঝবে না সে দৈন্যের রোদন ।।
অন্তরেতে কষ্টের পাহাড়
বুঝে না কেউ মুখ দেখে তার ।।
সহায় সম্বল নেই তো তাহার
দিনের শেষে রাত এসে যায়
আধ পেটি খায় ,তবুও ঘুমায়
বিছানাটা খেজুর পাতার মাদুর পাতা
রাত ভরে তাই হাতছানি দেয়
চন্দ্র তারা জ্যোৎস্না ঝরা
অকৃপণ মায়ায় ভরা
এমনি করে রাতের পরে দিন এসে যায়
বছর কাটে , যুগের পর যুগ চলে যায়
শতায়ু পার করে দেয়
হিসাব করে দেখে কেবল
নিকাশ থাকে শূন্যের কোঠায় ।।
বুদ্ধির ঘরটা ফাঁকা যে তার
সুখের বসত দূরে যে তার
শ্রম , বুদ্ধির এ দুয়ের নেই সমন্নয়
তাইতো দুঃখে কাটে , জীবন তাহার
শ্রমটা সার্থক কর, বুদ্ধির সাথে সন্ধি কর
অল্প সময়ে সুখের তুমি পাবে দেখা
নয়তো থাকবে মরুচিকা
দেখবে শুধু বিভীষিকা
ক্লান্ত হোয়ে হবে তোমার যবনিকা
কভু , পাবে নাতো , সুখের দেখা আর ।।