আসছে মিছিল গর্জন করে হুঙ্কার দিয়ে
কার জন্য? কিসের জন্য? এটা কি জনতার?
পুড়ছে গাড়ি, লুটছে বাড়ী, ফুটছে বোমা
ধার্য করে দিয়েছে নেতা কোনটি করলে পাবে কত
করছে আওয়াজ ডাইরেক্ট  একশন
কার সাথে কার ঘর্ষণ, দূরত্বে রয়েছে তারা
রুজি রোজগার করে জনতা, হিসাব করছে সন্ত্রাসীরা
কতটা ভাগ রয়েছে হিসাব করেছে দিনে রাতে
করছে তারা ধর্ষণ দিনে রাতে জনতার মনন
প্রতিরোধ করবে যে মস্ত বড় সন্ত্রাসী সে
যার জন্য প্রতিরোধ, তর্জনী উঁচিয়ে
হিসাবটা কেবল ব্যক্তিগত তার
অফিস, আদালত, রাজপথের ফুটপাত
দোহাই দেয় নগর পিতা, কাঁদে পক্ষ হয়ে হকারের
টোল তুলে বৎসরান্তে কোটি টাকার
পুত্ররা আদায় করে পকেট ভারী পিতার।
অফিস সেতো সিদ্ধ আইন উৎকোচ নিবার
আদালত করছে না বিচার অন্তত পার করে দেয় বার বৎসর
অভিযোগ যা নিয়ে খরচ অন্তত  তিনগুণ তার
সর্বস্বান্ত জনতা, আসছে নেতা নতুন বুলি তার
এবার প্রতিযোগিতা কে কত করবে উপকার মজলুম জনতার
আবার ঘুরে ফিরে চলছে পুরাণ সেই পথ ধরে
নিগ্রহ করবে পুনঃ আগামী পাঁচ বৎসর
সোনার বাংলা গড়বে তাদের এই অঙ্গীকার
রুখবে কে বা? কি তার প্রতিরোধের হাতিয়ার
পত্রিকা,  মিডিয়া কিম্বা টিভি বেতার
টক শো নিয়ে আসছে আবার সুশীল ব্যক্তিরা
সব কিছু যে কেনা গোলাম তার
মুখ খুলবে কেবা? জীবনটা তো তাদের কেনা
যখন খুশী করবে দান, নয়তো করবে সংহার
এমনি করে চলছে দেশ উৎরে যাবার উপায় কি তার?