সভ্যতার মানদণ্ড শালীন ভূষণ
সমন্বয় হবে কথন সকল কর্মযোগের
আদিতে বাস করত সব পশুর মতন
পার্থ্যেকটা বুঝল যখন লিঙ্গ ভেদের
বুদ্ধি দিয়ে গড়ল বসন পরিধানের
আদিতে ও লজ্জা স্থানে মানুষ পড়ত বাকল
বুদ্ধিধারন কারীর চিন্তার বিকাশ
গড়ল সংসার গড়ল সমাজ
আর্য্য নামের লোকেরা করত শাসন
শৃঙ্খলায় আসল মানুষ হল শালীন
জ্যৈষ্ঠ মান্যতায় নীতি নির্ধারণে চলত নির্দেশনায়
সভ্যতার শিখরে মানব জাতি এখন
লজ্জা নামক শব্দটা মুছে গেছে অভিধানের
যুবতীরা পড়বে পোশাক এমন করে
সমাজের বয়জৈষ্ঠরা হাঁটবে মাথা নিচু করে
সভ্যতার মাপকাঠির আজ এমনি ধরন
পুড়ানরা চলবে শুধু চক্ষু মুদে
কেউ কারে সমীহ করে না সম্মানবোধ বিলুপ্ত
বার্ধক্য জন দিবে শুধু অকাতরে বিলিয়ে
সংসারের দুষ্টুরা নিবে শুধু দুহাত ভরে
আরও হিসাব করে কত পাবে মরার পরে
কিছু যদি নাই বা পাবে একেবারে তুচ্ছ সে জন
আক্ষেপ নিয়ে ধুকে ধুকে মরবে পথের পরে ।


বৃদ্ধ আশ্রম সেখানে তার জায়গা কোথায়
এই সমাজ সংসারে উচ্ছিষ্ট জন সে
সভ্য সমাজ একাত্মতায় মুছে ফেলুক
অভিধানের অনেক কথা লজ্জাই সর্ব প্রধান
লজ্জা নাই যার ঈমান নাই তার কোন কালে
বেঈমান তাকে সবাই বলে
কুল হারানো মানুষ সে
এ জগতের ন্যায়ের সাথে যুদ্ধ করে মনে মনে
মুখ বুঝে তাই সইছে তারা
ভাটির টানে আছে যে ।।