এত রূপ এত শোভা, মোহিনী ধরা
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
চার পাঁচটা দেশ আনতে পেরেছি দৃষ্টির গোচরে ।
বৈচিত্র্য পূর্ণ উঁচু নিচু পাহাড় পর্বত
সবুজ বনানী, প্রাকৃতিক সম্পদে ভরা
গাড়ী যখন ছুটে চলে সর্বোচ্চ গতি নিয়ে
ঢেউ খেলানোসড়ক, দু ধারে বনানী
হাতছানি দেয়, ক্ষণিক দাড়াও পথিক
দেখে যাও আমি কত সুন্দর সৃষ্টি স্রষ্টার
রয়েছি সেবায় তোমাদের ।


মন বলে ঘুরে ঘুরে তৃপ্ত হই সারা পৃথিবী অবলোকনে
বাঁধ সাধে সীমানার বেড়াজাল অতিক্রম নিষিদ্ধে অন্যের
সীমানায় কারো আছে দেয়াল, কারো আছে কাঁটা তার
কেউ বা তাক করে আছে বিধ্বংসী কামান,
পরমাণু দিয়ে গড়া দূর পাল্লার মিসাইল
সব চেয়ে যে ক্ষমতাধর তারকা যুদ্ধ করার ক্ষমতা একার
কত স্বল্প সময়ে পৃথিবী ধ্বংস করা যায়
পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে তার, সাথে থাকে কিছু চাটুকার ।
তিমি মাছের মত শিকার তাহার, মুখ খুলে রাখে
পছন্দের খাদ্য, হেটে হেটে চলে যায় উদরে তাহার ।
কোনটা কখন ভোজনের যোগ্য, জাতিসংঘ সনদ দেয় তার
টেবিলে শান্তির কথা বলে, অলখে অশান্তির বান হানে
বেশীর ভাগ ছোট দেশ, এ বানে বিদ্ধ, ব্যথায় কাতর ।


প্রার্থনা সমীপে স্রষ্টার, বেড়াজাল ভেঙ্গে দাও
আমি তো নির্বোধ জানিনা,
তুমি অতি সত্বর করে দাও বিহিত ইহার ।।