বিরহকাল
---
সাদা শাড়িতে তোমায় দারুণ মানায়,
সাথে চোখের কোলে কাজল
মায়াময় হরিণী যেন।
কত যত্নে তোমায় গড়েছে বিধাতা
কোথাও নেই ছন্দপতন
মুগ্ধ সবে দেখে তোমাতে মুগ্ধ।
জন্মের পরই তোমার আনমনে বেড়ে চলা
উদাসী বাতাসের সাথে সখ্যতা
কিশোরী বেলায় তুমি চঞ্চল।
তোমাতে জোয়ার এলে তুমি হও পুষ্পবতী
ইশারায় ডেকে যায় কত ব্যাকুল হৃদয়
গরবিনী তুমি সাজো নতুন রূপে।
তারপর তোমাতে ডাকে প্রাণের বান
সব সাজ পড়ে থাকে
তোমাতে জাগে মাতৃহৃদয়।
ফুলের আবরণ খসে যায়
নত হও ফল ভারে,
তারপর কেবলই ঝরার পালা।
দুঃখ কি ছিল কিছু?
সব পাওয়ার আনন্দে গরবিনী আবারও
জীবন থেকে জীবন বয়ে নিয়ে যাওয়া।
তুমি টুপ করে ঝরে পড় একদিন,
শিশিরের জলে ভোরের রোদে
তুমি ম্রিয়মাণ হয়ে মিশে যাও ধুলোয়।
পড়ে থাকে জীবনের ধারা
এভাবেই আসে পূর্ণতা জীবনে
যে জীবন কেবলই মেলানো আরেক জীবনে।
বিরহকালে উৎসুখ চোখ থাকে না পাশে
একা বড় একা, ধুলোর মাঝেই
হয় একাকী সবকিছু বিসর্জন।
১৬/০৭/২১