কাকতাড়ুয়া
--
কে নেয় শস্যভাণ্ডার লুটে?
কাকতাড়ুয়া কাক তাড়ায় না।
নির্বিঘ্নে বসে বিশ্রাম নেয়
অলস মধ্যাহ্নে উপশমে হাওয়া।
কাকতাড়ুয়া দণ্ডায়মান এক ঠায় দাঁড়িয়ে,
শস্যভোজী শস্যদানা করে নিঃশেষ।
যতসব আজগুবি নিয়মে
অনিয়ম যত হয় যে নিয়ম।
ক্ষণিকের উন্মাদনা দেয় যে
বিচিত্র উপহারে সে হয় চিত্রিত হৃদয়পটে।
জোনাকের মিটিমিটি আলো উপভোগ্য বড়,
সূর্য উপেক্ষিত অনাদরে।
কাকতাড়ুয়া লুটেরা আড়াল করে,
দেয় তারে অবাধ লুটের অঙ্গীকার।
নির্বিবাদে শস্যভূমি হয় শূন্যক্ষেত্র,
কী অগাধ বিশ্বাসে কৃষাণ ঢলে পড়ে নিদ্রায়।
কাকতাড়ুয়া দেয় না ফসলের নিরাপত্তা আর,
জড়বৎ সে, কেবলই ঠায় দাড়িয়ে থাকে।
নিঃসাড় দেহে অবশেষে নিঃস্ব, নিরুপায় হয়ে
আত্নহননে খুঁজে শান্তির দ্বার।
কাকতাড়ুয়ার গল্প ফুরোয় না,
অরুণ বরুণ কিরণ মালার গল্পের মত।
যে কাহিনী আর কেউ খুঁজে না, পিছে পড়ে থাকে,
ফের ফিরে আসে নতুন রূপে, নতুন গল্প হয়ে।
--২৫/১০/২০১৯