কখনও কেউ ছিল না
--
যদি আর দেখা না হয়
অপেক্ষার প্রহর যতই হোক তিক্ত
শিউলি কুড়োবার বেলা
অজান্তে আঁচল উঠবে ভরে
মুঠো মুঠো শিউলির ফুলে,
তুমি কেন ভাবলে
তোমায় ছাড়া শূন্য আঁচল আমার?
আমার বিনিদ্র রজনী কেটেছে
ঘোর তমসার কালে,
হঠাৎ আলোর ঝলকানি সইবে কেন!
অশ্রুবিন্দু নিত্য হাসে
আমার সঙ্গী হয়ে,
সঙ্গীহীন নই আমি তাই কোনকালে।
অবেলায় ভাসিয়ে ভেলা
উপকূলে পায় না আশ্রয়,
চিরদিন গভীর সমুদ্রতলে
আমার চলাচল,
বেলা-অবেলার সন্ধিকাল পায় না নাগাল
আমার ভেলা পরিপূর্ণ এক পৃথিবী দীর্ঘশ্বাসে।
ওখানে আর নেই ঠাই,
তুমি যতই দাও আপনি ফিরে যায়
অভিমুখ তোমার বরাবর,
যার জন্য লুকোচুরি আয়োজন- বৃথা সব,
নিরবিচ্ছিন্ন দুঃখের সাথে লুকোচুরি খেলায়
ক্লান্ত এখন সময় তার।
পথিক ঘোলাজলে কী খোঁজ তুমি
ফেলে দিয়ে সকল কাজ?
তার চেয়ে যে পথ চলে গেছে বাঞ্চিত বাঁকে
পথ চল সেই পথ বরাবর,
ওখানে পথের শেষে হয়ত পাবে
একটি ঠিকানা তোমার।
এ পথের সব দ্বার রুদ্ধ,
অজান্তে ঝরে ক'ফোটা অশ্রু
পাষাণ দ্বারের ওপাশে,
ওখানে কেউ হয়ত ছিল তোমার জন্য,
হয়ত ছিল না কেউ।
চিরদিন কাটে হয়ত'র ঘোরে,
চিরদিন কী নেশায় কেটে যায় দিন,
অবশেষে হয়ত যায় দেখা
আসলে ওখানে কখনই কেউ ছিল না।
--১৬/১১/২০১৯