প্রকৃতির দান
--
তোমার জেগে ওঠার পরেই
ফসলের মাঠে আসে
উর্বরতার কাল।
এখন প্রতিটি ক্ষণে জাগে তার
আকণ্ঠ তৃষ্ণা, সৃষ্টির নেশায়
কাতর প্রতিটি কণা,মৃত্তিকার।
সময় যখন, তখনই হাসে
প্রসূত প্রসূণ পলল ভূমিতে।
সৃষ্টির নেশায় দেয় বাড়িয়ে হাত
ঝরে পড়া বৃষ্টি, প্রোথিত বীজ ;
তাই প্রতিটি ক্ষণ এখন সৃষ্টির ক্ষণ।
কর্ষণে কর্ষিত ভূমি বরাবর
সৃষ্টির উলাসে মত্ত মৃত্তিকা জননী-
ক্রমশ সঞ্চার হয় প্রাণের,
কর্ষিত ভূমিতে বীজ বোনে যায়
আজন্ম চাষা, চষা যার কাজ।
চষে বেড়ানোর পালা শেষে
ফসলের প্রতীক্ষায় পললভূমি।
চৈত্রের খরতাপে অপসৃত দহনের কাল,
বর্ষণে সিঞ্চিত একটু একটু করে
প্রাণের উন্মেষে তৃপ্ত মনোভূমি।
কিছু উত্তাপ, সঞ্জীবনী রস
সঞ্চার করে প্রাণে, স্বপ্ন দেখায় আগামীর।
অতঃপর তাদের মিলিত বাসনায়
শষ্যবীজে পরিপূর্ণ হল ভূমি।
ফসলে না লাগুক পাপ
পুঞ্জীভূত ক্রোধে না হোক অভিশপ্ত,
প্রকৃতির দানে পূর্ণ হোক ধরা,
জননীর পুত্র হোক
প্রকৃতির সন্তান,
প্রকৃতির দানে প্রকৃত থাকুক
প্রাকৃতিক ভূমি।
২৭/০৬/২০