এই বন একান্ত তোমার জানি।
একদিন ভালবেসেছিলে,হলুদ
ও কালো ডোরাকাটা আমাকে॥
ছিন্নভিন্ন করতেও দিয়েছ ঘাস
বনে লুকোনো তোমার হরিণী মাংস।
চৈণ্হিক গাছে গাছে এঁকে দিয়েছি
উগ্রঘ্রাণী প্রস্রাবের রংএ,
আমার সাম্রাজ্য সীমা--ভেবেছি
নিজেকে বনসম্রাট !
কখন যেন অশরীরী অথবা
সূক্ষ্মশরীরী দস্যুর আক্রমণে
শিথিল হোলো আমার মাংস!
তোমার শাল পিয়াল তোমার
আমলকী যতনা বৃদ্ধা হোলো,
অনেক দ্রুত আমার পৌরুষ
মাংস হোলো লোলচর্ম,অশক্ত।
এখন গর্জন শোনাযায় অন্য
ডোরাকাটার , আমারই প্রস্রাবের
ঘ্রাণসীমায়!
শরীর অন্তর্লীণা সূক্ষ্মশরীরীরা
শক্তি জড়ো করতে দেয়না
ঐ অবাণ্ছিত ডোরাকাটার শক্তি
পরীক্ষা নিতে !
তুমিও মোনালিসার রহস্যময়ী
চাওনিতে নীরব দর্শক !
অথবা সবলতর বনরক্ষীর খোঁজে...
বন তুমি কারো নও, শুধুই নিজের!
স্বাগতম নতুন বনরাজ,চলে যাব
তোমার উগ্রতর গন্ধের,বিজয়ী
প্রস্রাব সীমা ছেড়ে।তবে তুমিও
জেনো, তোমারও দম্ভ ক্ষণিকের॥