‘আচ্ছা দেখি,’ বলে সেই যে চলে গেলে:
তোমার আর দেখাই হলো না।
কতোবার চাঁদ উঠলো ডুবলো,
তোমাদের পাড়ার বকুল গাছে কোকিল ডাকলো,
সবুজ ধানের ক্ষেতে শালদুধ ধানশীষ দুলিয়ে
কতোবার যে অঘ্রাণের বাতাস বয়ে গেলো,
তোমার আর দেখা হলো না,
না তোমার আর আমার,
ভুলেও আর কোনদিন দেখা হলো না কোন পথের বাঁকে!


সেই যে চলে গেলে কি এক হাসির প্রভা ছড়িয়ে !
আরতো এলে না একবার পথ ভুলে এ পথে
কোন এক সকাল বিকাল বা সন্ধ্যায়।


খরস্রোতা পদ্মার বুকেও পড়লো বালুচর
বসত গড়লো বাস্তহারা অনাহারী যাযাবর বেদের বহর,
পলকে আবার ধুয়ে গেলো বর্ষায়
শরতে জাগলো চর, ফুটলো কাশ;  নীলাকাশ ছেয়ে গেলো শুভ্রমেঘে।


নাবিক ভিড়ালো জাহাজ; বণিক ফেললো নোঙ্গর!
কতো যে খুঁজেছি তোমাকে বাদামী বিকেলে নদী পাড়ে ভেজা বালিতে,
ঝরে পড়া শিউলি তলায়
বাসি বকুলের ঘ্রাণে, মাধবী লতায়,
অলকানন্দার হলুদ জ্যোৎস্নায়।
শীতকুয়াশায় ভিজলো কতো নববধুর আলতারাঙ্গা পা
তবু তোমার আর দেখা হলো না।


হলো না চার চোখে আর কোনদিন দেখা।
হারালো কি তবে সেই প্রাণের গোপন বর্ণমালা!
উঠেছে কি সিথিতে সিঁদুর, পরেছো দুইহাতে শাখা?


কোন পথ পিছে ফেলে
কোন পথে চলে গেলে বিস্মৃতির অতল তলে!
একবারও পড়লো না মনে?
তুমিইতো হেসে হেসে বলেছিলে,
‘আচ্ছা দেখি’।
=================  ==============
২১ নভেম্বর ২০১৬, ৬ অগ্রতায়ণ ১৪২৮, রবিবার, সকাল: ০২:২৩ মিনিট (+৩)
(স্বত্ত সংরক্ষিত)