কতোবার একা একা হেঁটে গেছি এই পথে খালি গায়ে খালি পায়ে,
পথচারী ছিলো কতো, আশেপাশে ছিলো না আপন সঙ্গী বা সাথী।
তখন ছিলো না এমন পাঁকারাস্তা; জলকাদা ভাঙ্গাচুরা মাটির পথ,
দৈবাৎ চার চোখ এক হতো, মুচকী হাসি উভয় ঠোঁটের বারান্দায়।


ধুলোবালি, কাাঁদামাটির এই পথের পাশেই কোন এক বাড়ীর গেটে,
ঝোপের মতো বিশাল এক ডালপালা ছাড়া হাসনুহেনার ঝাড় ছিল।
কখনো খোঁপায় গুঁজতে সখ করে কখনো হাতে নিয়ে হাঁটতে বেশ,
দাওনি কখনো হাত বাড়িয়ে, চাইনি নিজে; তবুও পুলকিত হতো মন।


চাঁদের গায়ে চাঁদ লাগার মতো এক দৃষ্টিকাড়া ফুলের হাতে অন্য ফুল,
কবি নই বলে কাব্য করে সেদিন বলাতো হয়নি মনের গোপন কথাটি !
চৌদ্দতে নারী বুঝে বিশ্বসংসার, এ তাদের জন্মসূত্রে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা,
তখন ষোড়শী মা বলেছে চায়ের আড্ডায়; তবু কেন বলো বুঝলে না!


এই পথে আজও হাঁটি রোদ-বৃষ্টি-শীতে একাকী দেখি না কোথাও আর,
এই মন গোপনে লালন করে যে প্রিয় মুখখানি বুকের ভিতরে, পরাণে।
-------------------------- ০ --------------------
০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৮, বুধবার, রাত:১১:২৩, কাব্যকুঞ্জ
(স্বত্ত সংরক্ষিত)