তারপর গভীর রাতে পাড়া ঘুমালেই চুপিসারে ঈশ্বর এসে দাঁড়ালেন,
ভাঙ্গা মূর্তি আর মন্দিরের বারান্দায় কারন তখন তাঁর আসন ভেঙ্গে
কয়েক টুকরো হয়ে সামনের উঠোনে দাঁত কেলিয়ে উপহাস করছে।


ঈশ্বর তখন সত্যিইতো নিরুপায় কেউ বিশ্বাস করুক আর না করুক,
কিছু যায় আসে না; ধর্ম-বর্ণ জাত-পাত গ্রন্থ-বেস্তা তাঁরতো নয় কিছুই
যারা এসব তৈরী করছে তারাই সেখানে পেশীশক্তির প্রদর্শনীতে ব্যস্ত।


ঈশ্বর নত মস্তকে ক্ষমা প্রার্থনা করছে তাঁর একদা কৃতকর্ম আর খুব
বড় ভুল করে আপন খেয়ালে মনুষ্যজাতির প্রাণ সচল করার জন্য,
তারপর ধীর পায়ে ধুয়োর মতো ধীরে ধীরে অদৃশ্যে মিলে গেল মুহুর্তে।


আবার ঝন ঝন করে উঠল তরবারি; লাঠিসোটা, ঝলকে উঠল আগুন
যেন ঈশ্বরই হুকুম দিয়ে সরে গেল চুপচাপ, আকাশ বাতাস মাঠ ঘাট
সোচ্চারিত হলো ’নারায় তাকবির’, ‘বোল হরি বোল’ স্ব-স্ব বিশ্বাসমন্ত্রে।


তাতে কার কি হলো, যে মায়ের কোল খালি হলো সে অঝোরে কাঁদল!
ধর্ম কতোটা মজবুত হলো বলা বাহুল্য; তবে ঈশ্বর রীতিমত মর্মাহত!
-----------------  0  --------------------
১৯ অক্টোবর ২০২১, ৩ কার্তিক ১৪২৮, মঙ্গলবার, রাত:১১:১৬, কাব্যকুঞ্জ,
(স্বত্ব সংরক্ষিত)