যতদূর মনে পড়ে,
২০১৭ সনের এক সন্ধ্যা শহুরে কৃত্রিম আলোয় ঝলমল।
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রবেশ পথে আমরা ক'জন।
মাঝখানে গুরু শিমুল মুস্তাফা ভাইয়া-
তাঁকে ঘিরে চারপাশে আমরা নতুন পুরাতন বৈকুণ্ঠ পরিবারের প্রিয়জন।


মেয়েটা তখন নতুন এ পরিবারে, সাদা পাগড়ী দিয়ে মাথা বাধা শ্যামাঙ্গিনীর।
লাল ঠোঁট, টানা টানা দুইচোখে কাজলের গাঢ় প্রলেপ
বেশ লাগছিল,
না, খুব একটা লম্বা নয় সে, আবার একেবারে খাটোও না।
দৃষ্টি আটকে রাখার মত লাবণ্যময়ী মাধুরীময় সে মুখ আর তার চাউনি।
খুব উচ্ছ্বল আমোদী হাসি-খুশী প্রাণবন্ত মেয়েটি।


কাছে গিয়ে জানা গেল নাম তার রাজিয়া জামান নাফিসা।
প্রকাশ্যে নয় মনে মনে বললাম এত বড় নাম, ধুর 'নাফু' বলেই ডাকব।
সে আর হয়নি; বরং সংক্ষেপে 'নাফিসা' বলেই ডাকি কাছের সবাই।
সমুদ্রের মত এক অতলান্ত বিশাল হৃদয়িনী; চোখ যেন আদিগন্ত নীল আকাশ।
বিরল আন্তরিক আর মুক্তমনের এক উদ্দমী কর্মঠ মানুষ।


শরৎশুভ্রতায় স্বচ্ছপ্রকৃতির মেয়েটিকে সবাই বুঝতে পারে না।
কখনো কখনো তাই অবচেতন মনে দুশ্চিন্তার ভাজ ফুটে ওঠে মুখে।
তবু তার গুণের বিশালতা পরিমাপ করা যায় না, যাবেও না।
হাজার সমস্যাকে বুকের ঝিনুকে পুরে প্রশান্তির মুক্তোদানায় রূপান্তরিত করতে জানে।
মার্জিত আচরণ, প্রাণ খোলা হাসি আর সহজ আলাপন তাকে পৌঁছে দেয় ভিন্নমাত্রায়।


আজ নাফিসা'র জন্মদিন।  অনেক অনেক শুভ কামনা আর শুভেচ্ছা তোমাকে আপু।
এমনি করেই ভালো থেক নিজে ভালো রেখ প্রিয়জন আত্মীয় স্বজন সবাইকে।
আঁচলের ছায়ায় জিড়াতে দিও কাঠফাটা রোদে ক্লান্ত পথিক যদি জল চায়।
তোমার মতই থেক তুমি আপনার মনে, চিন্তা-চেতনায় প্রেম-ভালোবাসায় জন্মান্তরে।
এই জলবায়ু নদীনালা খালবিলের সবুজ শ্যামল দেশে চিরসবুজ থেক স্বপ্নে-সাফল্যে।
-------------------- ------------------
৬ই সেপ্টেম্বর ২০২০, ২২শে ভাদ্র ১৪২৭, ১৭ই মহরম ১৪৪২, রবিবার, বিকালঃ০৪১১ মিনিট, (+৬)
Unauthorized use or reproduction for any reaasin is prohibited.