‘হেমায়েতপুর’ থেকে বের হবার পর ভিতরের আমিটা জিজ্ঞেস করল
কি রে পাগলা গারদ দেখতে আসলি বুঝি!
তা কি দেখে ফিরে যাচ্ছিস, ক’দিন ছিলি?
কি যে বলি তারে! ওখানে কি কেউ সখ করে বেশীদিন থাকতে আসে!


আসলে ওকে কিছুতেই বুঝাতে পারি না যে পুরো পৃথিবীটাই আস্ত একটা
‘হেমায়েতপুর’। দ্বন্ধ্ব আর ধান্ধা; স্বার্থ আর
লোভ ছাড়া এখানে আর কোন কিছু নাই।
মানুষ এসবের পিছে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে ক্রমশ: পাগল থেকে পাগলতর।


পাগল আর ছাগলের সাথে কিছু মিল আছে প্রবাদে পড়েছি বাল্যকালে,
এখন চোখে দেখি, কিছু ছাগলও দৃশ্যত
নিজেদের পরিচয় দেয় ম্যা, ম্যা, করে।
মজার বিষয় হলো ‘হেমায়েতপুরেও’ ওদের জায়গা হয় না চিকিৎসায়।


তার মানে কি দাঁড়াল! উৎকৃষ্ট পাগল-ছাগলের চেয়েও নিকৃষ্ট এই প্রানীগুলিই
মনুষ্যসমাজে অমানবিক কর্মকান্ডের অবতারনা করছে  খামখেয়ালীপনায়।
============== ============
১৭ জুন ২০১৬, শুক্রবার