কোনদিন পাবো না জেনেও সন্তর্পণে চলে যাই একা নদীর পাড় ধরে,
মালেঙ্গার ত্রিমোহনায় ওখানে বসেই ছাত্র জীবনে বেশ কিছু কবিতা
রচনা করেছি। তখন দেখা পেতাম, নদীর ঘাটে নানা অজুহাতে ছুটে
আসতে; হয়তো ইচ্ছে করেই; একবার নিজেরও বাসনা হতো দেখতে।


কতো আর বয়স তখন প্রাথমিক না পেরুনো কিশোরী চঞ্চলা হরিণী,
বেণী দুলিয়ে ওড়না উড়িয়ে একগাদা বই বুকে চেপে হেঁটে যেতে ওই
পথে, এপাড়ে  নদীর কিনারে বিনাকারনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মা
প্রায়ই বলতো; কিরে এতো ঘোরাঘুরি কিসের পড়াশুনা নাই বুঝি তোর!


তখন প্রেমে পড়ার বয়স হলেও প্রকাশের সাহস হয়নি. এমনইতো
হয় গোপনে চিঠিপত্র আদান প্রদান, জানালায় তাকিয়ে থাকা আর
কল্পনায় চাঁদের ডিঙ্গায় সাত আসমান ঘুরে আসা। আহা সেই বয়স!
একদিন দেখা না হলে ক্ষুধা লাগতো না; বুকের মধ্যে কি ছটফটানি!


জীবনে প্রথম প্রেম স্রোতেই ভেসে যায়; আবেগী উচ্ছ্বাসে ঘি-চন্দনে
মরা পোড়ানোর মতো নিজে পুড়তে হয়; তবু কোনদিন ভুলা যায় না।
---------------------- ০ --------------------
২৮ নভেম্বর ০২১, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৮, রবিবার, সকাল:০৩:১৮, কাব্যকুঞ্জ
(স্বত্ত সংরক্ষিত)