প্রেমীর জন্য বয়ে যায় সহস্র পৃথিবী ...


শরতের ঠোঁটে রাখা চিঠি পড়েছো কি তুমি?
কাশফুলের উজান-ভাটায় বাতাসে আবেগ
মায়ার আঁচল উড়িয়ে ভুলিয়ে দেয় সহস্র রাগিণীর পথ
আবির মাখা ভোরের নকশা
ঘুমের দুপুর
বিকেলের স্মৃতি
সন্ধ্যার গতি
রাত্রির নিরিবিলি নির্মাল্য বিতান...


তোমাকে ছুঁতে চেয়ে  রুমাল হয়ে আকাশ পকেটে
হিমাদ্রির বর্ষফোঁটা হয় সাগরের উজ্জয়িনী
বৃক্ষের অধরে শুয়ে থাকে হাজার বছরের ক্লোরোফিল
বুকের বাহারী জমিন ছড়িয়ে বেগবতী মল্লার রাগ
বাঁশরীর উদাস গীতিকা পরে ঝরা শেফালিকা


তুমিই কি জমাট বাঁধা অজন্তা ইলোরা...
তোমাকে পাঠাই হেমন্তের ছায়াবীথি
শীতের সহ্যগাথা
বসন্তের রঙিন পৃথিবী
বাঁধভাঙা বৈশাখী উন্মাদনা
বর্ষার বিবিধ রিমঝিম...


বিনোদিনী মধ্যধারায় উন্মাদিনী লক্ষণশ্রী তেঘরিয়া
কাঁখে কলসী অগ্রসরমান ধোপাখালির রজকিনী ছাপ
পাহাড়ি ফুলের ডাল হাতে ঢাল বেয়ে নামা মারমা তন্বী
কংস, গঙ্গা, টেমসের তীরে কার অপেক্ষায় জমানো ভাটির গান!
পায়ের তালে তালে সাঁওতাল পল্লী
তুমি কি ছুঁয়েছো বরফ কুয়াশা ছোঁয়া রোদের কেশর...
গানারিয়া মনিকাটা পাতার নৌকা বেয়ে
কোন ঝিয়ারি গেয়ে যাও ডি নদীর গান!