একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ! কঠিন সংগ্রাম!
অনেক কষ্টে মেয়েটি মুক্তি পেলো।
সে হারালো, তার প্রিয় বাচ্চাগুলো!


এরপরে মেয়েটির পাশে সহানুভূতি দেখাতে
দাঁড়ালো অনেকে, কথিত সুশীল, কথিত রাজনীতি,
কথিত বন্ধুদেশ আরও কত কী?!


একদিন মেয়েটির আত্মা তার দেহের অধিকার হারালো!
তার দেহের মালিকানা চলে গেল
সহানুভূতি দেখাতে আসা
মুখের কোণায় বিশ্রী হাসির ঝিলিক জিইয়ে রাখা
কুচক্রীদের কাছে।


ধীরেধীরে তারা মেয়েটির মাথায় হাত দেয়,
বলে বন্ধু,
তুই একমাত্র আমার আত্মা!
একদিন তারা কাঁধে হাত দেয়
বলে, মাগো
তোমার প্রেমে আমার হৃদয় আত্মহারা!
একদিন কেউ কেউ বক্ষের উপর হাত রেখে বলে,
এইতো এখানে, হে আমার ঈশ্বরী,
এই হৃদয় মাঝে আমি আবিষ্কার করি
আমার আত্মশক্তি!


তারপর,
তারা আরোও কালো অবয়ব নিয়ে,
আরোও বিশ্রী উলঙ্গ চিন্তা নিয়ে উপস্থিত হয়।
তাদের ক্ষুধিত মনো লিপ্সা খুঁজে যায়
আরও কিছু,
তারা গিলতে থাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বাজেট,
তারা গিলে গৃহায়ণ পরিকল্পনা,
তারা গিলে শিক্ষাখাত, গিলে শিল্পখাত,
গিলে মিরপুর, গিলে নিউমার্কেট, গিলে খাতুনগঞ্জ,
গিলে বুয়েট রাবি, গিলে মধ্যবিত্ত,
গিলে মোটর রিক্সা, গিলে তেতো দেহ,
তারা সাগর রুনি, তনু এবং আবরার ফাহাদ
গিলে খায়, তারপরেও তাদের ক্ষুধা মিটে না।
অদ্ভুতরকমভাবে তাদের ক্ষুধা বাড়তে থাকে...!


তারা তাদের ক্ষুধা মিটাতে নতুন উদ্যোগ নেয়,
নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করে।


তারপরে একসময় মেয়েটির দেহে ছড়ানো ছিটানো সবকিছু তারা গিলতে থাকে
এবং
কেউ বলে বন্ধু, কেউ বলে মাগো, কেউ ঈশ্বরী! আহা!
এখন
তারা ছলে বলে কৌশলে
কেউ বন্ধু, কেউ মাগো, কেউ ঈশ্বরী বলে চিৎকার দিয়ে
প্রতিদিন প্রতিরাতে
মুখে বিশ্রী হাসি ফুটিয়ে রেখে
অবিরত ধর্ষণ করে যায়...!


মেয়েটি যেই চিৎকার দিতে চাই
তার গলা চেপে ধরে
ঢাকা,
বরিশাল,
চট্টগ্রাম,
বি বাড়িয়া,
খুলনা সহ অনেক জায়গার অনেক অনেক হাত!


মেয়েটি তার চিৎকার, বেদনা, যাতনা, দুঃখ গিলে খায়!
ঢেকুর তুলে!


প্রতিদিন প্রতিরাতে নিয়ম করে তারা ধর্ষণ করে যায়,
মেয়েটিও কম কী সে?
এখন
নিয়ম করে আত্মচিৎকার, বেদনা, ব্যাকুলতা, হাতছানি গিলে খেতে চেষ্টা করে।


কথিত আছে,
চেষ্টা করলে সফলতা নিশ্চিত।
মেয়েটি এখন,
আর্তনাদ গিলে থেকে শিখে গেছে!...