আবহমান
 
ঠিক বিকেল পৌনে পাঁচটা
সরকারী অফিসের কেরানি
হাতমুখ ধুয়ে টেরি কেটে প্রস্তুত
ভিজে রুমাল চেয়ারের হাতলে
ফাইলটা এখনো খোলা
ঘড়িতে ঠিক পাঁচটা
ফাইল লাল ফিতে-বন্দী করে
অফিসে থেকে ঘড়ির কাঁটা
মেপে বেরোনো চাই।
 
নির্লজ্জ সূর্যটাও তেমন
কিছু পরে ডুব দেবে দিগন্তে
অসুস্থ রোগী হাসপাতালের
চত্বরে পড়ে আছে
বেড পাবে কি না জানে না
সূর্যর কি আসে যায়?
 
পরদিন সকালে ঘরের
জানালা দিয়ে একফালি রোদ
পড়ে অসুস্থ রোগীর চোখে
সারা রাত যন্ত্রণায় না ঘুমিয়ে
ভোর রাতে ঘুমিয়েছিল
নির্লজ্জ সূর্য দিল তাকে জাগিয়ে
 
সকালের টহল সেরে সূর্য
লুকিয়ে পড়ে সামনের দোতলা
বাড়ির পিছনে
পালিয়ে যায় ঘোমটার আড়ালে
 
রোগীর ঘুম কি আর আসে?
হয়তো নার্স আসবে একটু পরে
 
দশটা বাজার ঠিক আগে
কেরানি বসে আছে অফিসের চেয়ারে।


#পঙ্কজ কুমার চ্যাটার্জি।


সুপ্রভাত।
🌺🌹