দিদিমণি
 
পাশের রাস্তা থেকে স্কুলের
অফিস ঘরের দিকে দৃপ্ত পায়ে
আঁটসাঁট আচলে যখন হেঁটে যেতেন,
সারাক্ষণ আমি তাঁর আয়ত চোখদুটি
অনুসরণ করতাম। তারপর ক্লাসে
ঘড়ি ধরে ঢোকার পর থেকে আবার
সেই চোখ দুটিতে আমার চোখ
আটকে থাকতো।
-পিন ড্রপ সাইলেন্স
ভাষাশিক্ষার কঠিন অঙ্ক সহজে
সমাধান হয়ে যেত রোজ।
বাড়তি পাওনা আমার দিদিমণির
গভীর স্নেহময় কালো দুটি চোখ।
কেমন করে জানিনা চোখদুটি
আমাকে অলক্ষ্যে তাড়া করে এসেছে
অর্ধ শতাব্দী ধরে। নিঃশব্দে
সাহারা জুগিয়েছে।
 
শুধু একদিন সেই চোখের চাহনি দেখিনি।
সেদিন তোরসা নদীর তীরে চড়ুইভাতি।
এক বড় পাথরের উপর বসে দিদিমণি
তোরসার জলে একান্তে কিছু দেখছিলেন।
পরদিন থেকে আবার সেই চোখদুটো
আমাদের হয়ে গেছে।
 
অনেক পরে সুবর্ণরেখার তীরে
আমি সেই চোখের চাহনির অর্থ
হয়তো খুঁজে পেয়েছিলাম। 


পঙ্কজ কুমার চ্যাটার্জি।


সুপ্রভাত।
🌵🌹