আত্মসম্মানের শেষ টুকু নিংড়ে বেরনো
নির্যাস দিয়ে যত টুকু প্রেম কেনা যায় ...
ঠিক ততটা প্রেমিক হওয়া হলো না ....


দিনের শেষে ঘামে ভেজা কলার ,
সাংবাদিকের মতো প্রশ্ন করে ...
শেষ 24 ঘন্টায় কতটা সফল ? আদৌও সুখী তো ?
তখন ঘামে ভেজা শরীরে ফ্যানের হওয়ার শীতলে ,
বড্ড ঘুম পায় আমার ...
তাই হয়তো শীতের দিনেও ,শরীরের সমস্ত ঘাম নিংড়ে দিয়েও
আর পাঁচজনের মতো সফল হওয়া হলো না...


প্রতিটা লক্ষে পৌঁছবার পরে
আরো একটা করে চাওয়া বেরিয়ে আসে ...
সেখান থেকেই আবার লড়াই শুরু , নিজের সাথেই ...
না পেলেই সবটা ঠিক , কাছে পেলেই আবার
হিংস্র স্বৈরাচারী শাসকের মত চাওয়ার সাম্রাজ্য বিস্তার শুরু ...


মনের ভিতরে একটার পর একটা ,
ভালো না লাগার প্রলেপ জমে ...
প্রতিক্ষণে সৃষ্টি হওয়া অভিমান গুলো ,
সেই প্রলেপে স্বর্ণলতার মতো বেড়ে ওঠে ,আরো ঘনীভূত হয়ে ...
ঠিক যেমন দাঁড়ি দিয়েই , দাঁড়ি কাটার সময় গালে ব্লেডের দাগ লুকানো ...


আচমকা ঘুম ভেঙে যায় , ফোনে স্ক্রিনে প্রিয়তমা ,
আমার সফলতা আর তার বিয়ের মাঝে
যে একটা ভাঙাচোরা আমি আছি , সেটা আবার ভয় জাগিয়ে তোলে ...
হঠাৎ পাশের বাড়ির ছেলেটা চিৎকার করে উঠে ....
রোনাল্ডো , রোনাল্ডো .... গোল .... গো ও ও ও ও ও ল ...
পায়ে ছেঁড়া মোজার গন্ধেও বিরক্তি আসে না আর ...


আজকাল বড্ডো আয়না দেখি ,
মনের ভিতর লুকানো মিথ্যা চোখ দিয়ে ধরা পড়বে না তো ?
কিংবা লুকানোর চেষ্টা , পারিবারিক সমস্ত চাওয়া পাওয়ার লিস্ট ...
কিংবা নিজে কি চাই , সেটা মুছে ফেলার চেষ্টা ...
প্রিয়তমা , অন্তত তুমি বুঝতে ,
এক মানুষের জন্য হাজার মানুষ ত্যাগ করার ক্ষমতা থাকতে হয় ...


এই মহাকাশের যুগে , মুঘল সাম্রাজ্য বড্ড কাছে টানে আমায় ,
হয়তো আবার ইতিহাস সৃষ্টি হবে সিন্ধু সভ্যতার মত ,
যেখানে শুধু প্রেম থাকবে , ধুলোয় পরে থাকবে সোনার সিংহাসন যত ...
কিংবা বাড়ির পাশের কামারশালায় ধার দেওয়া হবে ,
মায়া সভ্যতায় ব্যবহৃত নরবলির খড়্গ ...


ধীরে ধীরে সেই রক্তের ধরা ক্রমশ সাম্রাজ্য বিস্তার করে ,
আফ্রিকা পেরিয়ে আমাজনের এক ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে ,
ঘুম ভাঙে , দেখি বালিশ ভিজে ...
শেষ বারের মতো বাড়িতে ফোন , মায়ের হাসিটা বড্ড মনে পড়ে ...
আবার শুয়ে পড়ি ,


কালকে তুমি ওদের বারণ করো ,
রজনীগন্ধার মালা দিতে ...
আজও পলাশ যে বড্ড প্রিয় আমার...