উদ্ধাস্তু মেঘ আজ সরে গেছে দূরে,
আকাশে প্রখর নীলের বাড়াবাড়ি।
হেমন্তের শেষ দুপুরে অকৃপণ সূর্য,
চারপাশে উজ্বল রোদের ছড়াছড়ি।
বুকের খাঁচা ভেঙ্গে উড়ে গেছে প্রজাপতি,
মুক্ত বাতাসের তার অবাধ উড়াউড়ি।
জীবনের স্বার্থকতা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে,
পুষ্পিত রঙিন বৃক্ষলতা, সারিসারি।


জীবনের সব রঙ তবু পাওয়া কি হয়,
পৃথিবীর এই অবাধ আলো বাতাসে?
একই আলো, একই বাতাসে বাস,
তবু বিস্তর ব্যাবধান, মানুষে মানুষে।
দিনের আলো কারো ফিকে হয়ে আসে,
প্রভাতের আলো জ্বলতে না জ্বলতেই।
আঁধারের কিটের মতো তমসায় বসবাস,
জীবন কেটে যায় হাতড়াতে হাতড়াতেই।


এ এক অদ্ভুত সময়ে বাস আমাদের,
সুবোধেরা সব বিদায় নিয়েছে আগেই।
মুখোশপরা সুবোধের মুখোশ খুলে যায়,
অকস্মাৎ, স্বার্থে একটু আঘাত লাগলেই।
সময় এখানে বোবা হয়ে বাস করে,
চোখ তার বন্ধ থাকে টিনের চশমায়।
তবু চারপাশের কিছু বোকা মানুষ,
সময় বদলাবে, এই আশা করে যায়।