অদ্ভুত  পূর্নিমার  চাঁদ,
অদ্ভুত পূর্নিমার আলো।
হাজার বছর  ধরে একই র'য়ে যায়।
আমাদের জীবন শুধু বয়ে চ'লে যায়।
মাটির  পৃথিবী থেকে  অসীম  মহাকাশে,
কোনো এক অচেনা জগতকে ভালোবেসে।
আঁধারের ওপারে যে জগত,
আঁধারের ওপারে যে বসতি।
তার কি আছে কোনো গতি?
না কি স্থির অচঞ্চল থেমে র'য়?
কোনো গতিহীন কক্ষপথে।
স্থির অচঞ্চল থেমে র'য়,
কোনো নতুন মৃত্যুর অপেক্ষাতে।


আমাদের অন্তহীন ছুটে চলা,
আমাদের মুখ বুঝে সব সয়ে যাওয়া,
নিজের জন্য তার একফোটাও নয়।
যাদের জন্য তাদের নেই বুঝবার সময়।
আমাদের জীবন একই ছকে বয়ে যায়,
একই ছকে বয়ে যায় আজীবন।
অচেনা নক্ষত্রের মতো,
কিছুদিন দিশা দিয়ে হারিয়ে যায় মহাকালে,
মহাকাশে এমন কতো তারা হারিয়েছে অকালে,
তাদের অপেক্ষাতে থাকে না তো কেউ,
নির্জনের কৃষ্ণ গহ্বরে তাদের শেষ আশ্রয় হয়।


এমনি করে,
আমাদের সময় যখন স্থির হয়ে আসে,
জীবনের সুর্য নামে পশ্চিমাকাশে।
যাপিত জীবনের ছবিগুলো ভাসে,
বেলাশেষের সাদাকালো ক্যানভাসে।
তখন বসে থাকি রাত্রি নামার অপেক্ষায়,
ক্ষুদ্র সময় যখন অনেক দীর্ঘ হয়ে যায়।
শংকা ভরা আশা নিয়ে শেষ দৃশ্যের ছবি আঁকি,
ওপারে ডাক শুনার আশায় অন্ধকারে কানপাতি।