তারপর,
যখন সুর্য চোকালো পাট অস্তাচলে,
বিষন্ন সন্ধ্যা নেমে এলো সমতলে,
তুমি আমি হেটে যাই চিরচেনা পথে,
মাঠের প্রান্তধরে, আলো আধারিতে,
কত শতবার। এই জীবন শুধুই বয়ে যায়,
থামবার বুঝি তার নেই কোনো দায়।


পাক খাওয়া কুয়াশার ঘন চাদরে,
সবকিছু ঢেকে যায় ধুসর আধারে।
শিশিরের জল, কচুরিপানার বেগুনিফুলে।
সন্ধ্যার আধার জমে মেঠো  ঘাসফুলে।
তুমি আর আমি, খোলা প্রান্তরে মুখোমুখি আবার,
সব পথ যে বন্ধ হয়ে গেছে পালাবার।
মোহ নয়, আসক্তি নয়, নিছক সামাজিকতার দায়ে,
হেটে যেতে হয় একসাথে, বন্ধুর রাস্তা, পায়ে পায়ে।


আমাদের সব গল্প এসে বিকেল বেলায় থামে,
যখন সুর্য দিনের শেষে অস্তাচলে নামে।
প্রভাতের কিরনের উষ্ণতার স্বাদ,
ভূলে গেছি, হৃদয় ভরা শুধু তিক্ত অবসাদ।
এটাই কি জীবনের চিরাচরিত রীতি?
এ ভাবেই কি হয় প্রেমের আত্নহুতি?
দিন যায়, অদ্ভুত মুক্তির আকাঙ্ক্ষা জাগে,
এমন মুক্তি কি সবাই চেয়েছে আগে?
সব কিছু রয়ে যায় ভাবনার চাদরে ঢাকা,
তুমি, আমি পাশাপাশি, তবু একা একা।