বসে আছি ময়নামতির চূড়ায়, সবুজ ঘাসে।
ছায়াময় অতীতের বেদনা ছড়ানো চারপাশে।
হেমন্তের মরে আসা বিকেলের শীতল বাতাস,
উড়িয়ে আনে মরা পাতায় সেকালের দীর্ঘশ্বাস।
কি উজ্জ্বল রৌদ্রস্নাত দিনের হয়েছে সমাপন,
অত্যুজ্জ্বল সেই সময়ের আঁধারে অভিগমন।
তাদের পরশ আজো টের পাই আমার মজ্জায়,
ধমনীতে বয়ে চলা তাজা রক্তের শ্বেতকণায়।


শেষবার আকাশ যখন চাষ করে সহস্র তারার ফুল,
আকাশগঙ্গায় যখন বরযাত্রীরা বাজিয়ে চলে মাদল,
তখন দেখি হারানো ময়ানামতির ঝাপসা হওয়া স্মৃতি,
শীত হেমন্তের জানালার মাঝখানে মুকুটহীন নৃপতি।
জয়ঢংকের সুতীব্র নিনাদ বাজেনা আর তার আগমনে,
বাতাসও জাগায় না গান পড়ে থাকা ধুসর পাতার প্রাণে।
সবকিছু মৃতবৎ পড়ে আছে অশ্বের দেহাবশেষের মতো,
যে মরে গিয়েছে বুকে নিয়ে চিরায়ত যুদ্ধের নৃশংস ক্ষত।
এখানে নরম লাল মাটির গর্তে আর কোনো ঐশ্বর্য্য নেই,
পাওয়া যায়না সোনার রুপার মুদ্রা কাচা মাটি সরালেই।
এখানে বাস করে বিষন্ন শিশির কণা টেরাকোটার বুকে,
সময় অন্ধের মতো কান্না করে নিহত পদ্মফুলের শোকে।


(১৯.০৮.২০২১, ঢাকা) (অক্ষরবৃত্তঃ ১৮ ও ২২ মাত্রা)