বাতায়ন পাশ দিয়ে আস যাও কে গো তুমি,
নুপুরের ধ্বনি শুনে মনে হয় চিনি চিনি।
ভোরবেলা ঘুম ভাংগে হাসির কলতানে,
আস বুঝি ফুল নিতে বকুল কাননে।
শাড়ির আচল তোমার দোলে মৃদু পবনে,
পরান থাকে না বাঁধা পাজরের বাধঁনে।
ভাবনা আমার দোলে প্রভাত সমীরে,
গোপন তান বাজে হৃদয়ের গভীরে।
অগোচরে হয় যদি ক্ষনিকের চোখাচোখি,
চঞ্চলা হরিনী, তড়িতে পালাও ছুটি।
কিশোরী বুঝনা কেন আমার মনোব্যাথা,
নির্ঘুম রাত কাটে ভেবে তোমার কথা।
মরমের মর্মে বাজে নুপুরের ধ্বনিটি,
ঝরা ফুলে রোজ গাথি বকুলের মালাটি।
কতবার তোমারে যে ডেকে যাই মনে মনে,
একাকী আসো না কেনো পুষ্পিত কাননে।
দুটি কথা বলিবারে আনচান করে প্রান,
কি বা পরিচয় তোমার কি বা নামধাম।
বকুলের মালাখানি গাথ রোজ কার তরে,
কোন জনা বাস করে তোমার মন জুড়ে।