বাসে করে যাই, জীবনের বাসে,
এক স্টেশন থেকে আরেক স্টেশনে।
সরসর করে সরে যায়, সড়কদ্বীপের গাছ।
সরসর করে সরে যায়, ভিটে মাটি ভুমি।
সরসর করে সরে যায়, পরিচিত মুখ।
শুধু স্মৃতিগুলো ঝুলে থাকে জানলার কাঁচে,
আর্দ্রতা মিশানো ধুসর কুয়াশার মতো।


বাসে করে যাই, জীবনের বাসে,
সবুজ তৃণের বুকে কালো পিচের আঁচড়,
সভ্যতার অলংকারে ভারাক্রান্ত পাড়া গ্রাম,
বিষাক্ত নিশ্বাসে বিপর্যস্ত দিকচক্রবাল,
মুক্তির অনুমতি চায় বিধাতার দরবারে।
কিছু কচুরিপানা তবু ফোঁটে এদোজলে,
বুকভরা অভিমান একপাশে ফেলে।


বাসে করে যাই, জীবনের বাসে,
বাড়ি যাই না হারিয়ে যাই, বুঝি না।
চুনা মাটির প্রলেপ খসে পরে সবার,
বীভৎস বিকৃত মুখ ব্যাদান করে থাকে।
অনাহুত অতিথির মতো দরজায় কড়া নাড়ি,
দিন শেষে সাড়া দেয় শুধু সবুজ পাতারা,
ধুলার আস্তরণে গভীর প্রাণের উচ্ছ্বাস।