সন্ধ্যা হয়, গাছের পাতায় জমা হয় আধার,
ক্লান্ত পাখি গুলো নীরে ফিরে আসে আবার,
আমাদের ব্যাস্ততা তবু ফুরোবার নয়,
হৃদয়ের ক্লান্তি, দেহের শ্রান্তিতে চাপা পরে রয়।
জীবন টিকিয়ে রাখার বীভৎস তাগিদে,
মরচে পরে সকল সুকোমল অনুভূতিতে।
বোধহীন পশুর মতন আমরা সবাই,
কপাট লাগাই আবেগের দরজায়।
বেঁচে থাকাই যখন হয় সকল স্বার্থকতা,
ছুড়ে ফেলে দিতে হয় কপট মানবিকতা।
তবু, বিস্মৃত তালিকায় লিখা থাকে পরিচয়,
আমরা মানুষ, নির্বোধ জানোয়ার নই।
বসন্তের বাতাসে দোলে উঠা ফুলে,
সুগন্ধি তেল দেয়া প্রেয়সীর চুলে,
আমাদের বেঁচে থাকার মানে লিখা থাকে,
সোনালী রঙের সুস্পষ্ট গাঢ় কালিতে।
সন্তানের নিষ্পাপ চোখের চাহনিতে,
আর দুঃখিনী মায়ের বেদনার অশ্রুতে,
স্বপ্ন আর বাস্তবের বিপরীত দ্বন্দ চলে,
জীবনের বোঝাকে টেনে নিতে বলে,
আধার ঢাকা সুরঙ্গের শেষ সীমানায়,
যেখানে মানুষ ভারবাহী পশু হয়ে যায়।