আবার যুদ্ধ,
আবারও হিংস্র ট্যাংকের চেইনের তলায়,
মাঠ ভর্তি সবুজ ঘাসের নিষ্পেষণ।
আবার যুদ্ধ,
আবারও সভ্যতা বিনাশী হিংসাত্বক
মারনাস্ত্রের কান ফাটানো গর্জন।
আবারও শিখিয়ে দেয়া ঘৃনার বাণীতে
চিরায়ত সম্প্রতির করুন আত্নহনন।
আবার যুদ্ধ,
আবারও আলোকের আঁধারে অভিগমন,
সংবেদিত মানব হৃদয়ের অঝোর ক্রন্দন।


কে চেয়েছিল এই পৃথিবী কোনোকালে,
যে পৃথিবীতে মানুষের চেয়ে গুলি অধিক,
যে পৃথিবীতে উপাসনালয়ের চেয়ে বেশী,
জলপাই রঙের শীতল কামানের সংখ্যা।
যে পৃথিবীতে প্রার্থনার সংগীত চাপা পরে,
গগনবিদারী জংগী বিমানের আওয়াজে,
আকাশ থেকে আর্শীবাদ নেমে আসেনা,
নেমে আসে প্রানঘাতী বোমার মিছিল।
যে পৃথিবীতে সবুজ ঘাসে লুকোনো থাকে,
শত্রুর বিষাক্ত মাইনের সুচতুর ফাদ।
এই পৃথিবী কোনোকালে চাইনি আমরা,
চেয়েছিলাম চারপাশে শান্তি অবাধ।


ও হে বিধ্বংসী যুদ্ধের আগ্রাসী কুশীলব,
আর কতটুকু ভুমি পেলে বল, মিটবে
তোমার আজন্ম লালিত ভূমি লিপ্সা।
আর কতটুকু খনিজ পেলে বল, ভরবে
তোমার চির উপোস খাঞ্জাচিখানা।
একজন মানুষের প্রানের দাম কি তবে,
একটুকরো রুক্ষভুমির চেয়েও কম?
এক গ্যালন পেট্রোল কি মুছতে পারবে,
মৃত সৈনিকের মায়ের চোখের জল?
বিধবার আর্তনাদ, এতিমের আহাজারি,
আর কতকাল মিশবে মৌন বাতাসে?


যদি কেউ থেকে থাকো শান্তির পক্ষে,
যদি কেউ বাচাঁতে চাও  মানবতা,
ধ্বংসের আগে, আজ তবে এক হউ,
মংগল বারতা বাজাও বিশ্বজুড়ে,
চাপা পড়ুক উন্মুক্ত যুদ্ধের দামামা,
সদ্যভূমিষ্ট শিশুর তীক্ষ্ণ চিৎকারে।।


(ঢাকা - ২৪/০২/২০২২)