সারি সারি কুড়ে ঘর, পাশে ঘন বন,
পরিপাটি সাজানো সাওতাল কানন।
পূর্নিমার তিথিতে সবাই নাচেতে আকুল,
তার সাথে বেজে চলে ঢোল বাশি মাদল।
শ্যামাংগী তরুনীর আঁখি ডাগর,
তাই দেখে উতলা প্রেমিক নাগর।
বসন্ত বাতাসে ভাসে পরাগ রেনু,
ক্ষনে ক্ষনে কেপে উঠে চপলা তনু।
ব্যাকুল হৃদয়ের কথা কি করে শুধায়,
নাচের ছন্দে মনের আক্ষেপ মেটায়।
চারপাশ উজ্জ্বল জোছনার বানে,
তার কথা মন মাঝে উঠে প্রতি ক্ষনে।
আড় চোখে দেখে তার নাগর মশায়,
একমনে তাল দেয় মাটির তবলায়।
দেহাতি গানের সুরে প্লাবিত ধরা,
তরুনীর বুকে আজো কিসের খরা?
কার লাগি শুধু শুধু মন উচাটন,
হৃদয়ে দোলা দেয় বাসন্তি ফাগুন।
নাচের দমকে জমে স্বেদ বিন্দু নাকে,
রিনঝিন শব্দ উঠে হাতের শাখে।
হৃদয়ের শব্দ শ্যামল শুনতে কি পায়?
আড় চোখে বার বার তার পানে চায়।
রক্তের অণুতে বাজে কিসের বেনু,
কার স্পর্শ পেতে হয় আকুল তনু।
অস্ফুটে তরুণী প্রার্থনা করে,
একবার সখা তুমি ছুয়ে দেখ মোরে।