কল্প তরু,
গল্প শুরু,
সবুজ গায়ের পথটি বাঁকা।
বহু দূরে,
সব ছেড়ে,
গেছে চলে যায়না দেখা।
বৃক্ষ সারি,
লাগে ভারি,
দু’পাশে তার গভীর ছায়া,
স্নিগ্ধ রূপ,
শান্ত খুব,
সোনা দেশের শ্যামল মায়া।


পাকা ধান,
কন্ঠে গান,
কাস্তে হাতে কিষাণ যায়।
ভরা মাঠ,
ব্যাস্ত হাট,
বারোয়ারি পসরা সাজায়।
লাল ঘুড়ি,
যায় উড়ি,
পিছন পিছন রাখাল ছুটে,
তার সাথে,
সংগী হতে,
পাড়ার সব ছেলেরা জুটে।


আম বনে,
মধু ঘ্রাণে,
উড়ে বেড়ায় মৌমাছি দল।
ঝড়ো বায়ে,
খসে পড়ে,
কুড়োয় সবে করে কোলাহল।
ধনে পাতা,
লংকা বাটা,
মাখিয়ে নিলে বেশ লাগে খেতে,
মজা বাড়ে,
খুব করে,
বসে যদি সবাই একই পাতে।


কালো ফিংগে,
কচি ঝিংগে,
পুকুর পাড়ে শীমের মাচায়।
বুনো ফুল,
সাদা দুল,
সুভাস ছড়ায় মৃদু হাওয়ায়।
ভাসে হাঁস,
চৈত্র মাস,
দুপুর বেলায় দীঘির জলে।
তপ্ত রোদ,
লাগে খুব,
আকাশ হতে আগুন ঢালে।


কানি বক,
রাখে চোখ,
ছোট্ট নদীর কালো জলে।
ঋষি হয়ে,
ধ্যান করে,
দুপুর বেলায় এক পা তুলে।
পাল তুলে,
নৌকা চলে,
দূরের ঘাটে সওদা নিয়ে।
মেঠো সুরে,
মন কাড়ে,
বাড়ি বুঝি অচিন গায়ে।


সাঁঝ আসে,
দিন শেষে,
গোধূলির আলো মায়া ছড়ায়।
ধীর তালে,
ফিরে চলে  
পাখিরা সব আপন কুলায়।
ঝিঁঝিঁ পোকা,
ডাকে একা,
থেমে থেমে ঝোপে ঝাড়ে।
সাঁঝ বাতি,
ইতি উতি,
জ্বালায় বঁধু ঘরের দ্বারে।


(রামডুবি, দিনাজপুর,  ১৭/০২/২০২২)