ইট পাথরের শহরের জীর্নশীর্ন এক মেসবাড়ি,
ছা-পোষা আমরা ক'জন ক্লায়কেশে বাস করি।
দুইটি বেড রুম, ড্রইং, ডাইনিং
আর এক টুকরো ছাদ,
দেয়ালে ঝোলানো পুরানো ক্যলেন্ডার,
টবে লাগানো গাছ।
অবসর পেলে ছুটির দিনে,
বসি জানালার পাশে।
ওপাশের বাসার জানালার পর্দা,
উড়ে মৃদু বাতাসে।
চকিতে দেখা যায় আবছা আলোতে,
অচেনা তরুণীর মুখ,
নিস্তরঙ্গ জীবনে হঠাৎ পাওয়া,
এক টুকরো সুখ।
জানিনা সে বাসায় কে কে থাকে,
বাবা মা ভাই বোন,
এই শুধু বুঝি নাম না জানা তরুণী,
বুকে তোলে আলোড়ন।
পূর্নিমার রাত, দখিনা বাতাস,
কিছুই টানে না তাকে,
কি এক অদ্ভুত বেদনা ছড়ানো,
নিষ্পাপ চোখে মুখে।
মায়ের ডাকে কখনওবা সে,
ছোটে যায় চকিতে,
পড়লে দৃষ্টি আমার চোখে,
থমকায় ক্ষনিকে।
বুকে ছলকায় রক্ত কণা,
নিঃশ্বাস লাগে ভারী,
নাম তার জানা, আজও হলোনা,
কি করে জিজ্ঞাস করি?
ঈদের ছুটিতে বাড়ি যায় সবে,
মেসে শুধু একা আমি,
কিসের টানে পড়ে আছি যে,
জানে শুধু অন্তর্যামী।
অতি সাধারণ ঘরদোর তাদের,
মধ্যবিত্ত জন,
ডেকে তারে একবার শুধাইতে চাই,
করে যদি নিমন্ত্রণ।
চালচুলোহীন ছা’পোষা আমি,
অতি সামান্য রোজগার,
হিসাব করে চললে পড়ে,
হয়ে যাবে দু’জনার।