রুদ্ধ কবাট গুলি কেবা খুলে দিলো,
ঘর খানা ভরিয়ে দিলো চাঁদের আলো।
ধুসর আকশের বুকে পূর্ণ শুভ্র শশি,
তাই দেখে গৃহছাড়া কত মুনি ঋষি।
অতীতের কাল হতে হালের সময়,
চন্দ্র হয়ে আছো  অপার বিস্ময়।
স্থির হয়ে মিশে আছো কোন সুদুরে,
তবু জোয়ার জাগাও মানব অন্তরে।
গাছের পাতার ফাঁকে রাতের আঁধারে,
আলোকরশ্নি ছড়াও প্রহরে প্রহরে।
প্রেমিক প্রেমিকার কত প্রেমপূর্ন নয়ন,
মুগ্ধ নেত্রে করছে তোমার দরশন।
কোন গাঁয়ের কোন মাতা অবুঝ সন্তানে,
দেখাইছে তোমার রুপ ছন্দে গানে।
কোন নদীর জলস্রোত তোমার আলোতে,
রুপার ধারার মতো চমকায় নিশিতে।
নির্জন বনকুঞ্জে কিংবা পাষান শহরে,
তৃষ্ণার্ত ক্লান্ত চোখ তোমায় খুঁজে ফেরে।
তোমার স্নিগ্ধ আলোয় ভুবনের মাঝে,
উদ্বিগ্ন মানব সন্তান প্রশান্তি খোঁজে।
মহাবিশ্বের ললাটে তুমি অনিন্দ্য প্রতিমা,
অপলকে দেখে যাই তবু তৃষ্ণা মেটে না।