বরিষন শেষে,
গগন সাজিল
নীলাম্বরী বেশে।
আলোক চমকায়,
সুনীল আকাশে।
শীতল বায়ুধারা,
সরায়েছে মেঘমালা,
তপ্ত ধরাতল
স্নিগ্ধ সলিলা,
প্রশান্তি নেমে এলো
সাঁঝের বেলা।
বারিকণা চমকায়,
সবুজ ঘাসের গা'য়,
মনে হয় ছড়ানো
মানিক রাশি।
ফোটে আছে ফুল হয়ে,
সোনালী হাসি।
বিজড়িত প্রশান্তি,
দেহমনে স্বস্তি,
উষ্ণতার লেশভাগ,
নেই কোথা আর।
ক্ষনিকের বারিধারা,
চারপাশ মাতোয়ারা,
যতোই ঘনায়ে আসুক
গোধুলী আঁধার।
জলে ভেজা ফিঙ্গেটি,
শালিক টিয়াটি,
শুকায় ভিজা পালক,
চষ্ণুতে ঘসে।
লক্ষ্মী পেঁচার দল,
নেই কোনো কোলাহল,
তমসার প্রতীক্ষা করে,
কোটরে বসে।
সীমাহীন ব্যাস্ততা,
থেমে গেল সহসা,
শান্ত রজনী
নেমে আসে ধীরে।
ঘরে ঘরে সাঁঝবাতি,
ঝোপেঝাড়ে জোনাকি,
আলোকমালা বিছায়,
অবনীর প'রে।